বিজেপির নবান্ন অভিযান নিয়ে পারদ ক্রমশ চড়ছে৷ গেরুয়া শিবিরের নবান্ন অভিযানের বিরোধিতায় মামলা দায়ের হল কলকাতা হাই কোর্টে। অভিযান রুখতে প্রার্থনা করা হল আদালতের হস্তক্ষেপ। হাই কোর্টের কাছে আবেদনকারীর আর্জি, জাতীয় সড়ক আটকে সভা করার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু বিজেপি তা মানছে না। নবান্ন অভিযানের নামে সাধারণ মানুষের হয়রানির চেষ্টা চলছে। এই বিষয়ে উচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়েছে।
বিজেপির নবান্ন অভিযান রুখতে প্রস্তুত প্রশাসন। তৈরি হয়েছে একাধিক ব্যারিকেড। মোতায়েন ৪ হাজার পুলিশ। আছে জলকামান, টিয়ার গ্যাস৷ পুলিশের প্রস্তুতিকে কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলনেতা
শুভেন্দু অধিকারী৷ টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘গণতান্ত্রিক ভাবে করা এক রাজনৈতিক কর্মসূচিকে শেষ করে দেওয়ার জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছে মমতার পুলিশ। সাঁতরাগাছিতে স্টিলের ব্যরিকেড তাঁর উদ্বেগ ও ভীরুতার প্রতীক।’
ইতিমধ্যেই হাওড়া এবং শিয়ালদহ স্টেশনে ভিড় করতে শুরু করেছেন বিজেপি কর্মীরা। শিয়ালদা স্টেশন চত্বরে বিজেপির মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন দিলীপ ঘোষ। মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, ‘পুলিশ যত চেষ্টাই করুক, আন্দোলন চলবে। কোনও বাধাতেই এই কর্মসূচি রোখা যাবে না। যেখানেই আটকানো হবে, সেখানেই বিজেপি কর্মী–সমর্থকরা রাজপথে বসে পড়বেন। বাধা বিঘ্ন উপেক্ষা করে সকলে কলকাতায় এসেছেন, ধন্যবাদ জানাই।' দিলীপের দাবি, সোমবার থেকেই পুলিশ জেলায় জেলায় বিজেপির কর্মীদের আটকানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু সফল হয়নি। কর্মীদের নিয়ে বিজেপির বিধায়করা কলকাতায় এসেছেন।
তিনটি মিছিল নিয়ে নবান্নের দিকে এগিয়ে যাওয়ার কথা বিজেপির। কলেজ স্ট্রিট থেকে শুরু হওয়া মিছিলের নেতৃত্ব দেবেন দিলীপ। সাঁতরাগাছির মিছিলের পুরোভাগে থাকবেন শুভেন্দু। হাওড়া ময়দানের মিছিলের সামনে থাকবেন সুকাম্ত মজুমদার।