সাড়ে তিন'শ বছরের ইতিহাস জড়ানো চাঁচলের রাজবাড়ির পুজো। আর তাতেই লেগে আছে এক ধর্মীয় সম্প্রীতির গল্প।
রাজা রামচন্দ্র রায় চৌধুরি স্বপ্নাদেশ পান দেবী চণ্ডীর।মহানন্দার ঘাটে স্নান করতে গিয়ে তাঁর হাতে চতুর্ভুজা অষ্টধাতু নির্মিত মূর্তি উঠে আসে।সেই মূর্তি রাজবাড়িতে এনে প্রতিষ্ঠা করেন রাজা রামচন্দ্র। তখন থেকেই পুজোর রীতি। আগে সোনার মূর্তির পুজো হলেও এখন কাঠামো গড়ে প্রতিমা তৈরিই হয়।
একসময় নাকি পাহাড়পুরের মহানন্দা নদীর পশ্চিম পাড়ে (সতীঘাটায়)মহামারী দেখা দিয়েছিল। তখন দেবী সেখানকার মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে স্বপ্নাদেশ দিয়েছিলেন গোধূলিলগ্নে বিসর্জনের সময় তাঁরা যেন মাকে আলো দেখান। সেই ট্র্যাডিশন এত বছর ধরে চলে আসছে। দশমীর গোধূলিতে বৈরগাছি, সাহুরগাছি, নিত্যানন্দপুর এলাকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ লণ্ঠন নিয়ে পথ দেখান মাকে। অন্ধকারে মা আলো ছাড়া চলতে পারেন না যে।
এখনও, এই ধর্মের নামে মানুষের মনে বিষ মিশিয়ে দেওয়ার যুগেও পাহাড়পুরের মা কারোর একার নয়, কোনও জাতের নয়, ধর্মের নয়, এও কী কম পাওয়া?