নববর্ষ আসছে, শেষ হচ্ছে ১৪৩০। গড়িয়াহাটে এখন ব্যস্ততার অন্ত নেই৷ ভীষণ ব্যস্ত হাতিবাগান, গড়িয়া, বিধাননগরও৷ উত্তর থেকে দক্ষিণ- কলকাতা মহানগরীর সর্বত্র চৈত্র সেলের শেষলগ্নের হুড়োহুড়ি।
চৈত্র বিকেলগুলোয় শেষবেলার বিকিকিনির মহোৎসবে কতই না রং! দরাদরির তো শেষ নেই। দোকানি চাইছেন ৫০০, জবাবে ক্রেতা শুরুই করলেন ১৫০ দিয়ে। কথার পাল্টা কথা, যুক্তির পাল্টা যুক্তি। অবশেষে ক্রেতা যখন মুখ ফেরাবেন, তখনই ডাক "ও দিদি, যাচ্ছেন কেন.. এই তো.. দুশোটা টাকা দিন..."
Editorji Exclusive-Chaitra Sale: অনলাইন কেনাকাটার দাপটে জৌলুস হারানো চৈত্র সেল কি অসম লড়াই?
সেলের বেলা গড়িয়ে এল। হাতে সময় বেশি নেই। তাই হু হু দাম পড়ছে জামাকাপড়ের। ১০০, ৭৫, ৫০ থেকে নামতে নামতে ২৫, ৩০ টাকাতেও বিকোচ্ছে জামা, টপ, ওড়না, কখনও কখনও ট্রাউজারও! বোরখা পরেও দরাদরি করছেন অনেকে৷ ইদ আর চৈত্র সেল- দুই উৎসব যেন মিলেমিশে একাকার।
কলকাতায় অনেক কিছু নেই৷ বহু খামতি নিয়েই বাঁচে এই শহর। তবুও ভাগশেষ হয়ে রয়ে যায় চৈত্র সেলের দিনগুলি, নিছক বিকিকিনির বাইরে বেঁধে বেঁধে বাঁচার একটা মাসও কি নয় সে?