বাঙালির সব অনুষ্ঠানের সঙ্গে জুড়ে থাকে খাওয়া দাওয়া। বিজয়াই বা বাদ থাকে কেন? ঠাকুর ভাসান মানেই মিষ্টিমুখ। তারপর পরের সপ্তাহ খানেক ধরে এ-ওর বাড়ি গিয়ে বিনা আমন্ত্রণেই দিব্যি খেয়ে আসা। বদলানো সময়ে চেনা ছবির অনেকটাই কিন্তু আর নেই।
অধিকাংশ পরিবারেই এখন বিজয়া সারা হয় মুঠো ফোনে। কোলাকুলি শুভেচ্ছা, সব ওই ভার্চুয়াল। যদি বা আত্মীয় সজনের বাড়ি যাওয়া হয়েও ওঠে, ঘরে তৈরি নোনতা-মিষ্টি দিয়ে বিজয়া করার ঝক্কি আর ক'টা পরিবার নেয়? তার বদলে এসেছে এক ক্লিকেই ঘরের দরজায় খাবার! তালের বড়া থেকে নিমকি, নাড়কেল নাড়ু, মাংসের ঘুগনি, তক্তি, খুড়মা, এমন কী মুড়ি-মুড়কিও অনলাইন অর্ডার হচ্ছে দেদার।
নাড়কেল নাড়ু-তিলের নাড়ু-তক্তির জন্য আর বছরভর অপেক্ষা করতে হয় না। অর্ডার দিলেই দুয়ারে হাজির সব। জীবন ক্রমশ দ্রুত হচ্ছে, আধুনিক হচ্ছি আমরা। তবু কোথায় যেন কমে কমে যাচ্ছে প্রাণের ছোঁয়া, তাই না?