অকাল বোধন! তারই আয়োজন গোটা বাংলাজুড়ে। আগে চল ছিল মহালয়ার দিনই দেবীর চক্ষুদানের। হালে সেই নিয়ম বদলেছে, এখন মহালয়ার দিন তিনেক আগে থেকেই মণ্ডপে চলে যাচ্ছে প্রতিমা। ব্যতিক্রম কলকাতার বনেদি বাড়িগুলি, যাদের মধ্যে একেবারে প্রথমেই বলতে হয় শোভাবাজার রাজবাড়ির দুর্গা পুজোর কথা। রবিবার, পিতৃপক্ষের শেষ দিনে ঘটা করে আঁকা হল মা দুর্গার চোখ।
শোভাবাজার রাজবাড়ির পুজো এ'বছর ২৬৬ বছরে পড়ল। ১৭৫৭ সালে প্রথম রাজবাড়িতে পুজো করেছিলেন নবকৃষ্ণ দেব। পলাশীর যুদ্ধে ইংরেজদের জয় উদযাপন করতেই প্রথমবার অকাল বোধন হয় রাজবাড়িতে।
দেবী দুর্গা এখানে বাড়িরই মেয়ে। তৎকালীন বাংলায় ঠাকুর দালানে নেমে পুজো দেখতে পারতেন না বাড়ির মেয়েরা, বউরা। দেখতে হতো চিকের আড়াল থেকে। তাই দেবী দুর্গার মূর্তির সামনেও রয়েছে চিক, আজও। বাংলার বেশিরভাগ বনেদি বাড়ির মতো দুর্গা এখানে অশ্ববাহিনী।
শোভাবাজার রাজবাড়িতে ঘট স্থাপনের পর থেকে রোজই মায়ের বোধন হয়। তবে সেই পুরনো প্রথা মেনেই সিঁদুর খেলার চল আজই নেই রাজবাড়িতে।