২৫ ডিসেম্বর ক্রিসমাস । তার আগের দিন অর্থাৎ ২৪ ডিসেম্বর পালিত হয় ক্রিসমাস ইভ । অর্থাৎ আজই সেই দিন, যখন গভীর রাতে লাল সাদা টুপি, লাল পোশাক, আর কাঁধে ঝোলা নিয়ে আসবে সান্টা বুড়ো আর মোজায় রেখে যাবে নানা উপহার । তবে, বাস্তবে সেই সান্টা বুড়ো হয় প্রিয়জনেরাই । তবে, ক্রিসমাস ইভে এই রীতি বহুদিন ধরে চালু রয়েছে । জানেন কি, কীভাবে শুরু হল এই রীতির ? আর সান্টা কল্জের গল্প কিন্তু একেবারেই কাল্পনিক নয় । এর পিছনেও রয়েছে এক কাহিনি ।
চতুর্থ শতাব্দীর কাহিনি । সেন্ট নিকোলাস নামে এক ধনী ব্যক্তি থাকতেন তুরস্কে । ধনী অথচ দয়ালু ব্যক্তি ছিলেন তিনি । ছোট বেলাতেই তাঁর বাবা-মাকে হারিয়েছিলেন নিকোলাস । তবে, গরিব, দুঃস্থদের জন্য মন কাঁদত তাঁর। সুযোগ পেলেই পাশে দাঁড়াতেন । তবে আড়ালে । কোথাও কেউ বিপদে পড়লে লুকিয়ে সাহায্য করতেন নিকোলাস । একবার এক ব্যক্তি অর্থাভাবে তার তিন মেয়ের বিয়ে দিতে পারছিলেন না। খবর পেয়েই নিকোলাস চুপি চুপি সেই ব্যক্তির বাড়ি যান । বাড়ির ছাদে উঠে চিমনিতে একটি সোনার থলি রেখে আসেন । আর সেদিনই ঘটনাচক্রে চিমনিতে মোজা শুকোতে দিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি । নিকোলাস সে মোজাতেই সোনা ভরে দিয়েছিলেন। তবে একবার নয়, মোট তিনবার। শেষবার তাঁকে দেখে ফেলেন ব্যক্তিটি ।
নিকোলাস তখন জানান, গোপনেই তিনি সকলের সাহায্য করতে চান । তাই তাঁর কথা যেন কেউ জানতে না পারেন । কিন্তু, শেষপর্যন্ত গোপন রাখা যায়নি তাঁর গল্প । ধীরে ধীরে সেন্ট নিকোলাসের গল্প ছড়িয়ে পড়েছিল নানা প্রান্তে । সেই সেন্ট নিকোলাসই সকলের প্রিয় সান্টা ক্লজ নামে পরিচিত ।