আকাশে-বাতাসে উৎসবের আমেজ । রাত পোহালেই কালীপুজো, দীপাবলী । আলোর মালায় সেজে উঠেছে গোটা দেশ । দেশজুড়ে পালন করা হবে আলোর উৎসব । দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সন্ধ্যার সময় ঘরে ঘরে জ্বলে উঠবে প্রদীপ অথবা মোমবাতি ।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই আলোর উৎসবের গুরুত্ব ও মাহাত্ম্যও কিন্তু পৃথক । সব কিছুর পিছনেই একটা গল্প রয়েছে, ইতিহাস রয়েছে । এই যেমন, উত্তরভারতে দীপাবলী উৎসব পালিত হয়, রাবণকে হারিয়ে রামের অযোধ্যায় প্রত্যাবর্তনের দিন হিসেবে । দক্ষিণ ভারতে মনে করা হয়, এই দিনে নরকাসুরকে বধ করেছিলেন শ্রী কৃষ্ণ । অন্যদিকে, শিখদের কাছে এই দিনটি পালনের গুরুত্ব হল গুরু হরগোবিন্দকে সম্রাট জাহাঙ্গির এদিন মুক্তি দিয়েছিলেন । তাই প্রদীপ জ্বালিয়ে উৎসব পালন করা হয় । দেশের কোথাও আবার দিওয়ালির দিন লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয় । মনে করা হয়, এই বিশেষ দিনেই সমুদ্র মন্থনের সময় দেবী লক্ষ্মী আবির্ভূত হয়েছিলেন ।
তবে, পশ্চিমবঙ্গ এমন একটি রাজ্য, যেখানে উৎসবের মজা কিন্তু দ্বিগুণ । এরাজ্যে একইসঙ্গে কালীপুজো ও দীপাবলীর উৎসব পালন করা হয় । এদিন, কোনও কোনও বাঙালি বাড়িতে আবার লক্ষ্মী পুজোরও চল রয়েছে । কালী মন্দিরগুলিকে সাজিয়ে তোলা হয় । একদিকে চলে মায়ের আরাধনা, আরেকদিকে দিওয়ালির উৎসব । গোটা বাংলা সেজে ওঠে আলোর মালায় । বাজি ফাটানো হয় । এখন তো আবার বাঙালিদের মধ্যে রঙ্গোলি দেওয়ার চল শুরু রয়েছে ইদানিং । এককথায়, উৎসবের রঙে রেঙে ওঠে বাঙালি, অবাঙালি সকলেই । মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় কালীপুজো ও দিওয়ালি ।