ক্যানসার রোগীর সংখ্যা যত বাড়ছে, তত মানুষের মধ্যে এই রোগ নিয়ে আতঙ্ক বাড়ছে । তার উপর অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার ঘটনায় আতঙ্ক যেন আরও দ্বিগুণ হয়েছে । এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে কী কারণে
ক্যানসার হচ্ছে, মারণ রোগ প্রতিরোধে কোন সচেতনতা অবলম্বন করা প্রয়োজন, সচেতনতা অবলম্বন করলেও আদৌ ক্যানসার প্রতিরোধ সম্ভব কি না সেই বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের রেডিয়েশন অঙ্কোলজি বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর বিষাণ বসু ।
ফেসবুকে দীর্ঘ পোস্টে বিষাণ বসু জানিয়েছেন,ক্যানসার যে শুধু বয়স্কদেরই হবে তা নয়, ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন কমবয়সীরাও । তিনি লেখেন, "আধুনিক সভ্যতার আনুষঙ্গিক হিসেবে ক্যানসারের চরিত্রগত পরিবর্তন ঘটছে। আগে যে-ধরনের ক্যানসার বেশি দেখা যেত, এখন তার চাইতে অন্যরকম।" এখন কোন ক্যানসারগুলো বেশি হয় ? তিনি জানাচ্ছেন, মহিলাদের যোনিদ্বারের ক্যানসারের থেকে স্তনের ক্যানসার সংখ্যায় বেশি ।গত দুই দশকে পিত্তথলির ক্যানসারের সংখ্যা বেড়েছে ।
কী কারণে ক্যানসার বাড়ছে ? ধূমপান, মদ্যপান তো রয়েছেই । সেইসঙ্গে, খাবারের ভেজাল থেকে বাতাসে দূষণ..ক্যানসার বাড়াচ্ছে । সেদিকেই বেশি করে সচেতন হতে বলছেন চিকিৎসক । বিষাণ বসুর কথায়, "ব্যক্তিগত সচেতনতা দিয়ে ক্যানসারের নিবারণ বা প্রতিরোধ কতখানি সম্ভব, বলা মুশকিল। আমরা নিঃশ্বাস নিচ্ছি দূষিত বাতাসে - গাড়ির পোড়া ধোঁয়া বা উন্নয়নের সিমেন্টগুঁড়ো, দূষণের কত প্রকার!! - খাবারের সঙ্গে জুড়ে থাকছে ঢালাও রাসায়নিক - 'স্বাস্থ্যকর' সবজির মধ্যে মিশছে রঙ, রাসায়নিক সার, কীটনাশক - আর কতো প্রকারের দূষণ!! - প্রতিটিই আমাদের শরীরের ভেতরে বদল ঘটাচ্ছে, ক্যানসারের সম্ভাবনা বাড়াচ্ছে । "
তাহলে উপায় কী ? অনেকেই বলেন স্বাস্থ্য সচেতন জীবনযাত্রা ক্যানসার দূরে রাখে । সত্যিই কি তাই ? বিষাণ বসু জানাচ্ছেন,ক্যানসার বিষয়ে সচেতনতা বলতে অনেকটা শুদ্ধ বাতাস,রাসায়নিক-মুক্ত খাবার,দূষণহীন জল । নাগরিকের কাছে তা পৌঁছে দেওয়ার ব্যাপারে সরকারের দায়িত্ব - এসব বিষয়ে সচেতনতাও বটে । মানুষ নিজেই ক্যানসারের সম্ভাবনা বাড়াচ্ছে । তাই স্বাস্থ্যসচেতন জীবনযাত্রা দিয়ে ক্যানসার থেকে দূরে থাকার সম্ভাবনা কম ।