কলকাতা বললেই যেমন, চোখের সামনে ভেসে ওঠে ভিক্টোরিয়া, হাওড়া ব্রিজের মতো কিছু কিছু ছবি, তেমনই কলকাতার দুর্গা পুজো বললে প্রথমেই মনে আসে বাগবাজার সর্বজনীন (-Bagbazar Sarbojonin)এর কথা। এডিটরজি বাংলার তরফে আমরা পৌঁছে গেছিলাম ১০৩ বছরের পুরনো সেই পুজোয়।
কেবল তো জাঁকজমক নয়, এই পুজোর সঙ্গে মিশে রয়েছে কলকাতার ঐতিহ্য, বনেদিয়ানা, ইতিহাস। পুজোর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নাম।
১৯১৯ সালে বাগবাজার সর্বজনীনের পুজো শুরু হয়েছিল স্থানীয় নেবুবাগান লেন এবং বাগবাজার স্ট্রিটের মোড়ে ৫৫ নম্বর বাগবাজার স্ট্রিটে। তখন এই পুজোর নাম ছিল নেবুবাগান বারোয়ারি দুর্গাপুজো৷
১৯৩০ সাল। কলকাতার মেয়র তখন সুভাষচন্দ্র বসু। কলকাতা পুরসভার অল্ডারম্যান দুর্গাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের চেষ্টায় বাগবাজার সার্বজনীনের পুজো বর্তমান চেহারা পায়। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় সহ আরও অনেকে যুক্ত ছিলেন এই পুজোর সঙ্গে।
শহরের অধিকাংশ থিম পুজোয় মহালয়ার আগে থেকেই মণ্ডপ তৈরি। ঠাকুর এসে গেছে মণ্ডপে, বাগবাজারে কিন্তু অন্য ছবি। আনুষ্ঠানিক ভাবে দেবীর বোধনের দিন তিনেক আগে জোর কদমে চলছে মণ্ডপ তৈরির কাজ। প্রতিমার এখনও চক্ষুদান বাকি। এক কথায় বলা যায়, পুজোর আগেই পুজোর মেজাজ আসেনি সেখানে। বরং, এই যে মা আসার প্রস্তুতি, তাই চেটে পুটে মেখে নিচ্ছে বাগবাজারবাসী।
আর থিম পুজোর ভিড়ে হারিয়ে যাওয়ার ভয়? শুনেই হেসে উড়িয়ে দিলেন পুজোর ভাইস প্রেসিডেন্ট। বললেন, সাবেকিয়ানাই এই পুজোর থিম। এই প্রজন্মও নাকি বাগবাজার সর্বজনীনকে ঠিক এ ভাবেই পেতে চায়।