পুজোর ভোগ । শব্দ দু'টো শুনলেই জিভে জল চলে আসে সবারই । মায়ের ভোগের গন্ধ, সেই স্বাদ...আহা ! এ স্বাদের সত্যিই ভাগ হবে না । ষষ্ঠী থেকে দশমী...মায়ের ভোগে পড়ে নানান পদ । বিভিন্ন বনেদি বাড়িতে ভোগের ক্ষেত্রে নানা রকম নিয়মকানুন । কোথাও মা-কে পাঁচ দিনই আমিষ পদ দেওয়া হয় । কোথাও আবার পোলাও, লুচি সহযোগে নিরামিষ ভোগ কিংবা ফলের প্রসাদ ।
ষষ্ঠী থেকে দশমী মায়ের ভোগের বিবরণ
ষষ্ঠীর দিন দেবীকে কাত্যায়নী রূপে পুজো করা হয় । এই দিন ভোগ হিসেবে মাকে লাউ ও মধু নিবেদন করা হয় । এছাড়া, সঙ্গে বিভিন্নরকম নিরামিষ সবজি ও লুচি দেওয়া হয় । কোথাও আবার মায়ের ভোগে ভাতও থাকে । ভাতের প্রসাদের সঙ্গে থাকে পাঁচমিশালী তরকারি, পায়েস, সুক্ত।
সপ্তমী থেকে নবমী পুজোর এই তিনদিন মাকে কোথাও খিচুড়ি, কোথাও পোলাও অথবা লুচির ভোগ দেওয়া হয় । লুচির সঙ্গে দেওয়া হয় সুজি,পাঁচ রকম ভাজা । সঙ্গে থাকে আলু-পটলের ডালনা, আলুর দম, ছ্যাচড়া, ছানার ডালনা, পনির, ধোঁকা... পায়েস, বোঁদে ও রকমারি মিষ্টি। ইলিশ ভোগও দেওয়া হয় । যেমন, কাশীপুর চিৎপুর রোডে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী রায়চৌধুরী বাড়িতে সপ্তমী ও নবমীর দিনে মাকে পেঁয়াজ-রসুন ছাড়া রুইমাছের পদ ভোগ হিসাবে দেওয়া হয় । সাবর্ণ রায়চৌধুরীদের সন্ধিপুজোয় ল্যাটা মাছ পুড়িয়ে তা ভোগে দেওয়া হয়। দশমীর দিন দেওয়া হয় পান্তা ভাত, ইলিশ মাছ, কচু শাক। কোথাও থাকে শুধু খিচুড়ি ভোগ । তাই, মা দুর্গার ভোগ সাধারণত বনেদি বাড়ি বিশেষে আলাদা হয়ে থাকে ।
অনেকেই বছরভর ডায়েট করেন,মেনে চলেন নানা বিধি নিষেধ কিন্তু দুর্গা পুজোতে ভোগ খাবেন না এমন বোধহয় কেউ নেই !