এখানে প্রকৃতি আর ইতিহাস হাত ধরাধরি করে হাঁটে। গহন অরণ্যের মধ্যে দণ্ডায়মান ৫০০ বছরের ইতিহাস৷ চিল্কিগড়ের কনকদুর্গা মন্দির৷
কথিত আছে, জঙ্গলমহলের রাজা ছিলেন গোপীনাথ সিং। তাঁর রাজ্যের নাম জামবনী, রাজধানী চিলকিগড়। ডুলুং নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত তাঁর প্রাসাদ। অষ্টাদশ শতকের মাঝামাঝি রাজা স্বপ্নাদেশ পেয়ে তার ৩ রানির হাতের কাঁকন দিয়ে তৈরি করলেন দেবী কনকদুর্গার মূর্তি৷ চতুর্ভুজা এই দেবী কিন্তু সিংহবাহিনী নন, অশ্ববাহিনী৷ দেবীর গায়ে ছিল নীল বস্ত্র৷
১৯৬০ সালে আসল মূর্তিটি চুরি হয়ে যায়৷ ১৯৯৬ সালে গোপীনাথের বংশধররা অষ্টধাতুর কনকদুর্গার একটি প্রতিমূর্তি মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত করেন৷ গোপীনাথ সিংয়ের ছিল ৪ পত্নী। রানি গোবিন্দমনি, চম্পামনি, ঠাকুরমনি ও দুর্গামনি। আগে কনকদুর্গার পুজোয় নর বলির প্রচলন ছিল। গোবিন্দমনির নির্দেশে নরবলি বন্ধ হয়ে শুরু হয় নিশাবলি।
অষ্টমীর মধ্য রাতে চিল্কিগ.ড জঙ্গলে পাঁঠাবলি দেওয়াই রীতি, একেই বলে নিশাবলি৷ সেই বলির পাঁঠার মাংস নবমীর অন্নভোগের আগে দেবী কনকদুর্গাকে নিবেদন করা হয়৷ যা বিরাম ভোগ নামে পরিচিত৷ সেই ট্র্যাডিশন এখনও চলছে৷