কারোর কাছে বছরভরের সব কাজ ভুলে একটু আনন্দ উদযাপনের দিন, কারোর কাছে আবার সারা বছরের ভাল থাকা, না থাকা ওই পাঁচটা দিনের ওপরেই নির্ভর করে! এক উৎসবকে কেন্দ্র করে কত রকম অঙ্ক। বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজো কড়া নাড়ছে দরজায়।
বছরভর তেমন লাভের মুখ দেখেন না। কিন্তু দুর্গাপুজোর সময়টা মুখে হাসি ফোটে পদ্মচাষিদের৷ পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায় ব্যপক পরিমাণে পদ্মফুলের চাষ হয়ে থাকে। কিন্তু এই বছরটা ব্যতিক্রম৷ বৃষ্টিপাত বেশ কম৷ তার উপর গরমও অনেকটাই বেশি। সব মিলিয়ে পদ্মের উৎপাদন কম৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রস্তুতি তুঙ্গে। পুজোর বাজার ধরতে মাসখানেক আগে থেকে পাঁশকুড়ার হিমঘরে পদ্ম সংরক্ষণ করতে শুরু করেছেন চাষিরা।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট, নন্দকুমার, পাঁশকুড়া, তমলুক, রামনগর, শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকে ব্যপক পদ্মচাষ হয়ে থাকে। সারা বছর ২ টাকা থেকে ৫ টাকা প্রতি পিস দামে বিক্রি হয় পদ্ম। কিন্তু পুজোর সময় প্রতিটি পদ্মের দাম ওঠে ১০ টাকা থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত। মহাষষ্ঠীর দিনে পদ্নের দাম ওঠে তুঙ্গে। কারণ পুজোতে লাগে ১০৮টি পদ্ম।