''পুরানো সেই দিনের কথা ভুলবি কি রে হায়।
ও সেই চোখে দেখা, প্রাণের কথা, সে কি ভোলা যায়''
গিটার হাতে পাজামা পাঞ্জাবিতে সেজে গান গাইছে খুদে। দেশের পুজো দেখেনি কোনও দিন, তবু ছোট্ট শিল্পীর সুরে সুরেই বড়রা ফিরছে নস্টালজিয়ায়। ফেলে আসা ঘরের চারপাশে এখন নিশ্চয়ই শরতের মেজাজ! কাশ-শিউলি ভিড় করে আছে এদিক-ওদিক। পাড়ায় পাড়ায় শেষ মুহূর্তের মণ্ডপ তৈরির প্রস্তুতি। ঢাকে কাঠি পড়েই গেছে। নিজেদের শহর ছেড়ে ওরা পড়ে রয়েছে হাজার মাইল দূরে! ঘরে ফেরা হয়নি, তাতে কী? একটুকরো ঘর-ই বরং বানিয়ে ফেলেছে বিদেশ বিভূঁই-ই।
দিল্লি মুম্বই নয়। সুদূর নিউ জার্সিতে বসে ওঁরা উদযাপন করলেন শারোোদোৎসব। ওঁরা কারা? ত্রিনয়নী। দেশ থেকে অনেকটা দূরে বলেই হয়তো, দেশের টান ওদের প্রবল। সেই টানকে সম্বল করে অসম্ভবকেই সম্ভব করে ফেলল নিউ জার্সির বাঙালি পরিবারগুলো।
Sovabajar Rajbari chokkhudan: মহালয়ার বিকেলে শোভাবাজার রাজবাড়িতে হল দেবীর চক্ষুদান
২৪ সেপ্টেম্বর, এডিসনের রুসভেল্ট পার্কে দশভুজার আরাধনা হল মহাসমারোহে। নিজেদের হাতে বানানো প্রতিমাকেই পুজো করা হল যামিনী রায়ের আঁকার ধাঁচেই বানানো হয়েছে দুর্গা, লক্ষ্মী, গণেশদের। পুজো তো হল, সঙ্গে পেট পুজোও, তার সঙ্গে আড্ডা, গান, অনুষ্ঠান সব। আট থেকে আশি মিলে মঞ্চস্থ করল নাটক। পুজো শেষে হল সিঁদুর খেলাও।
পুজো আসলে উদযাপনের। যার যার ঘরে ফেরার, শেকড় চেনার উদযাপন। বাংলায় থেকেও শেকড় আলগা হয়ে আসে কারো কারো। আবার বিদেশে থেকেও মনের মধ্যেই কারোর গাঁথা থাকে আস্ত একটা ঘর, এই যেমন 'ত্রিনয়নী'র।