আকাশ দেখে বোঝার উপায় নেই, আর ইট কাঠ পাথরের জঙ্গলে কাশ-শিউলি দেখার অবকাশও নেই। কিন্তু পুজো যে দরজায় কড়া নাড়ছে, তা বোঝার উপায়- গড়িয়াহাট। ব্যস্ত-ব্যস্ত-ব্যস্ত গড়িয়াহাট।
এক একটা করে পা ফেলা, আর ফুটপাথের দু-পাশ থেকে ডাক, 'বলুন দিদি কী লাগবে?' কোনও ডাক উপেক্ষা করতে না পেরে একটু দাঁড়ালেই পূর্ব পশ্চিম ঈশাণ, নৈঋত সব কোণ থেকে ধাক্কা। অন্য পথচারীর বিরক্তি, 'উফফ...রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে কেন?'... চেনা গড়িয়াহাটের চেনা ছবি এই সব। শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা চলছে সকলের ঘুরে ঘুরে।
বাইট।
অনলাইন শপিং এসে রাতারাতি অনেক কিছু বদলেছে। পুজোর দু'মাস বাকি থাকতে গড়িয়াহাটের সেই উপচে পড়া ভিড় আজ নেই। ভিড় থাকলেও সবাই যে ফুট থেকেই কিনছেন বা কিনবেন এমনও নয়। বছরভরের কেনাকাটায় ডিজিটালেই আস্থা অনেকেরই। গড়িয়াহাটের রাস্তার দুপাশে ঝোলানো বাহারি পোশাক দেখে বেশ লাগে, কিন্তু কিনতে গেলে মনে হয়, 'ঈশ ফুটের জামা!' অথচ একই সালোয়ার বা কুর্তি অনলাইনে কিনলে বেশ তৃপ্তিও হয়, অবশ্যই বেশি দামে।
বাইট
বিক্রেতার এই আত্মবিশ্বাস দেখে ভাল লাগে। কেউ কেউ এখনও ভরসা রাখেন, তাঁদের ক্রেতা অনলাইনে বড়জোর জামাকাপড় দেখবেন, দাম পরখ করবেন, কিন্তু কিনবেন না।
বাইট
কী আশ্চর্য! কেঠো প্রতিদ্বন্দ্বিতার যুগেও আশেপাশের দোকানে বউনি না হলে শুধু নিজের খুশিতে খুশি হন না কেউ কেউ। সারা শহরকে যারা পুজোর সাজে সাজাচ্ছেন, ওদের ঘরেও পুজো আছে তো? জিজ্ঞেস করলে বলেন,
বাইট
এই পুজো সবার ঘরে আলো জ্বালুক, বাহারি পোশাক রাস্তার দোকানে টাঙ্গিয়ে দর হাঁকছেন যারা, পুজোর দিনগুলোয় ওদের ঘরেও সকলের গায়ে যেন থাকে নতুন জামার গন্ধ।