শীতকালে সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা অত্যন্ত কঠিন একটি কাজ। অফিসের তাড়া থাকলে ঘুম থেকে ওঠা যদিও বা সম্ভব কিন্তু সময়ের আগে উঠে ব্যায়াম করাটা বোধহয় সকলের কাছেই অত্যন্ত কঠিন একটি কাজ। কারণ শীতের কয়েকটা মাস প্রত্যেকেরই আরও একটু বেশি সময় আরামদায়ক বিছানায় থাকতে ইচ্ছে করে। কিন্তু গবেষণা বলছে, শীতকালে ব্যায়াম করা প্রয়োজন। বরং গরমকালে যারা ব্যায়াম করেন না তাঁদেরও শীতকালে ব্যায়াম করা জরুরি।
কেন শীতকালে ব্যায়াম করা প্রয়োজন?
বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্রীষ্মকালের চেয়ে শীতকালে ব্যায়াম করলে আরও বেশি পরিমাণে ক্যালোরি বার্ন হতে পারে। কারণ এই সময় গরম কালের তুলনায় ঘাম অনেকটাই কম হয়। যার ফলে আরও বেশি সময় ওয়ার্ক আউট করা সহজ হয়।
শীতের সময় ব্যায়াম করলে হার্টের ওপর অনেক কম চাপ পড়ে। ফলে, কম শারীরিক কষ্টে সহজেই ব্যায়ামের মাধ্যমে সুস্থ থাকা সম্ভব হয়।
শীতকালে তাপমাত্রা কমতে শুরু করলে অনেকেরই রক্তচাপ বাড়তে শুরু করে। রক্তচাপ বাড়লে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়। এছাড়াও শীতে তাপমাত্রা কমে গেলে শরীরে তাপমাত্রা বজায় রাখার জন্য হৃদপিণ্ডকে রক্ত পাম্প করতে হয় কঠোর পরিশ্রম করে। ফলে শীতকালে ব্যায়াম করলে হৃদপিণ্ড ভালো থাকে। হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমে যায়।
যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন। শীতে ঘুম থেকে উঠতে কষ্ট হয় বলে অনেক ক্ষেত্রে ব্যায়াম বন্ধ রাখেন। কিংবা অ্যাজমা, হৃদরোগ ইত্যাদি বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার কারণে অনেকে ব্যায়াম বন্ধ রাখেন। কিন্তু হঠাৎ করে ব্যায়াম বন্ধ রাখলে দেহের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা কমে যায়। শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা যায়। ফলে শীতকালে ব্যায়াম চালিয়ে যাওয়া উচিত। এক্ষেত্রে বেশি ঠান্ডায় বাইরে বেরোতে সমস্যা হলে ঘরের ভেতরেই শরীর চর্চা করার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
শীতকালে অনেক সময় সকালে ঘুম থেকে উঠলে হাত-পায়ের পেশিতে টান ধরার সমস্যায় ভোগেন অনেকে। শীতকালে নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত। ব্যায়ামের কারণে পেশি আরও বেশি সচল হয়। টান ধরার সমস্যাও কমে যায়।