কী অদ্ভুত সমাপতন! এ গান তো তিনিই লিখেছিলেন। তখন জানতেন, তাঁর ভালবাসার রাজপ্রাসাদেও একসময় নিশুতি রাত গুমরে মরবে? বাংলার প্রবাদপ্রতিম সংগীতকার পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Pulak Bandyopadhyay) বাড়ির পুজো।
তাঁর লেখা গান আজও বাঙালির মনের মণিকোঠায়৷ সেই পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির দুর্গাপুজোরও রয়েছে অত্যন্ত সমৃদ্ধ ইতিহাস। এ-বার ২৮২ তম বর্ষে পা দিচ্ছে উত্তর হাওড়ার সালিখা হাউসের (Salikha House) সেই পুজো।
Aranyer Dinratri Remake: অন্য আঙ্গিকে পর্দায় 'অরণ্যের দিনরাত্রি', সৌমিত্রর চরিত্রে জিতু কমল
ভালোবাসার রাজপ্রাসাদের 'বাবুদের বাড়ি' নামে পরিচিতি।প্রায় তিনশ বছর আগে এখানে আসেন জমিদার রাধামোহন বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তীকালে বাবুডাঙ্গা নামে পরিচিত হয়। এই বাড়িতেই জন্ম পুলক বাবুর।১৯৩১ সালে। এই বাড়িতেই লেখা হয়েছে বাংলার কত কালজয়ী গান।
বাড়িতে আসতেন উত্তমকুমার। গান গাওয়া ছাড়াও মহানায়ক ঘুড়ি ওড়াতেন ছাদ থেকে। এই বাড়িতে এসে গান গেয়েছেন অপরেশ লাহিড়ী, তবলা বাজিয়েছেন বাপী লাহিড়ী।
শিল্পীর আত্মহত্যার পর থেকেই জৌলুশ কমেছে। ভাইপোরা ছাড়া পরিবারের অন্য সদস্যরা চলে গিয়েছেন বাড়ি ছেড়ে। শিল্পীরা কি ভবিষ্যৎ দেখতে পান? সেই কবেই তো লিখে গেলেন, 'মুকুট টা তো পড়ে আছে...রাজাই শুধু নেই'।