উৎসব নিয়ে সব বয়সীদেরই একটা অমোঘ আকর্ষণ থাকলেও, অন্তত সরস্বতী পুজোর ক্ষেত্রে এই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে স্কুল পড়ুয়ারাই। সরস্বতী পুজোর কয়েকদিন আগে থেকে অন্য স্কুলে আমন্ত্রণ পত্র পাঠাতে যাওয়া থেকে শুরু করে স্কুল প্রাঙ্গন সাজানো সহ পুজোর অন্যান্য আয়োজন- সব মিলিয়ে এই ‘ব্যস্ততা’-টি যেন পড়ুয়া জীবনের এক বড় প্রাপ্তি।
২০২২ সালের সরস্বতী পুজো কীভাবে করবেন পড়ুয়ারা ?
হাতে একদম সময় নেই। তাই চটজলদি বিশেষ কিছু বানানো যায় কি না, তাই নিয়ে ঘন ঘন বদলাচ্ছিল পরিকল্পনা। কারা এবং কখন ঠাকুর কিনতে যাবে, তা নিয়েও বিস্তর আলোচনা, মানভঞ্জন চলেছে। স্কুল খোলার প্রথম দিনের তোড়জোড়কে এ ভাবেই হারিয়ে দিল সরস্বতী পুজোর চূড়ান্ত প্রস্তুতি। তবে সংক্রমণের ভয়ে বসে ভোগ খাওয়ানোর পরিকল্পনা যে বাদ দিতে হবে, তাতে সকলেই একমত।
এ বছর যে স্কুলে সরস্বতী পুজো হবে, তা কিছুদিন আগেও ভাবতে পারেনি পড়ুয়ারা। গত ৩১ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অষ্টম থেকে দ্বাদশের পড়ুয়াদের জন্য স্কুল খোলার কথা বলতেই ছবিটা বদলাতে শুরু করে। বৃহস্পতিবার স্কুল খোলার প্রথম দিনে একদল পড়ুয়া ঢুকেই শুরু করে দেয় পুজোর পরিকল্পনা। বেশির ভাগ স্কুলেই প্রধান শিক্ষকেরা জানালেন, একাদশের পড়ুয়াদেরই পুজোর ভার দেওয়া হয়েছে।
এখন শুধু দিনটি আসার অপেক্ষা।