বিরিয়ানি শুধু খাবার নয়, এটা একটা আবেগ। যেকোনও মনখারাপে মুখে হাসি ফুটে ওঠে এক থালা বিরিয়ানি পেলেই। সম্প্রতি একটি বাসমতি চালের সংস্থা বিরিয়ানি প্রেমীদের জন্য আন্তর্জাতিক বিরিয়ানি দিবস পালন করতে চলেছে জুলাই মাসের প্রথম রবিবার অর্থাৎ ২ জুলাই।
তার আগে আপনার প্রিয় খাবারের সম্পর্কে জেনে নিন খুঁটিনাটি।
বিরিয়ানি শব্দটি ফার্সি শব্দ বিরিয়ান থেকে এসেছে, যার অর্থ 'রান্না করার আগে ভাজা' এবং বিরিঞ্জ মানে ভাত।
বিরিয়ানির উৎস : এই সম্পর্কে অসংখ্য তত্ত্ব রয়েছে। ঐতিহাসিকদের একাংশের দাবি,বিরিয়ানির উৎপত্তি পারস্য থেকে এবং মুঘলরা ভারতে নিয়ে এসেছিল। ভৌগলিক ভাবেও বিরিয়ানির নানা বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
কলকাতার বিরিয়ানি
শোনা যায়, ব্রিটিশদের রাজত্বকালে নবাব ওয়াজিদ আলী শাহ কলকাতা শহরে বিরিয়ানি তৈরী করেন। মাংসের পরিবর্তে আলু দিয়েই তৈরী করা হয়েছিল বিরিয়ানি।
লখনউ বিরিয়ানি
লখনউ বিরিয়ানি 'পুক্কি' বিরিয়ানি বা আওয়াধি বিরিয়ানি নামেও পরিচিত, লখনউ বিরিয়ানির একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য হল "দম পুখত" রান্নার পদ্ধতি। এই কৌশলে, মাংস এবং আংশিকভাবে রান্না করা ভাত একটি হান্ডি বা বড় পাত্রে লেয়ার করে রেখে অল্প আঁচে ধীরে ধীরে রান্না করা হয়।
হায়দ্রাবাদি বিরিয়ানি
সম্রাট ঔরঙ্গজেব নিজা-উল-মুলককে হায়দ্রাবাদের নতুন শাসক নিযুক্ত করার পর বিখ্যাত হায়দ্রাবাদি বিরিয়ানি তৈরি হয়।কথিত আছে, তাঁর শেফরা প্রায়৫০ টি ভিন্ন সংস্করণ তৈরি করেছিল যেগুলি মাছ, চিংড়ি, কোয়েল, হরিণ এবং এমনকি খরগোশের মাংস ব্যবহার করে তৈরি হয়েছিল।