eIndia To USA: একটা সময় ছিল, আমেরিকা বললে ভারবাসীর কাছে শোনাত অন্য গ্রহের মতো। এখন অবশ্য দিল্লি থেকে ২০ ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে যাওয়া যায় নিউ ইয়র্ক। ডিরেক্ট ফ্লাইট না থাকলে অবশ্য আরও খানিকটা সময় যায়। সব মিলিয়ে দেড় দিনের ধাক্কা। সেটাই যদি রাতারাতি আধ ঘণ্টায় নামিয়ে আনা যায়! যাহ্ তা আবার হয় নাকি! ভাবছেন, কল্পবিজ্ঞানের গল্প বলছি? মোটেও না!ভারত থেকে মাত্র আধ ঘণ্টায় উড়ে যাওয়া যাবে মার্কিন মুলুকে! আর মাত্র কয়েক বছরের অপেক্ষা।
সদ্য নির্বাচনে জয়ী হয়ে দ্বিতীয় বারের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের নতুন নীতির ফলেই নাকি সম্ভব হবে এই প্রায় অসম্ভব ঘটনা। কী ভাবে? ভারত থেকে আমেরিকা ৩০ মিনিটে পৌঁছোতে হলে সেই বিমানের গতিবেগ কত হবে?
দিল্লি থেকে সানফ্রান্সিসকোর দূরত্ব ১২,৫০০ কিমি। সেই পথ ৩০ মিনিটে অতিক্রম করতে হবে বিমানের গতি হয়তে হবে ২৫,০০০ কিমি/ ঘণ্টা। এই বেগে ছোটে কোন বিমান। এখনও পর্যন্ত যে যুদ্ধবিমানের গতি সর্বোচ্চ, তা ঘণ্টায় হাজার চারেক মাইল। ঘণ্টায় ২৫,০০০ মাইলের চেয়ে অনেক অনেক কম। তাহলে উপায়? বিমান নয়! স্পেস এক্সের মহকাশযানে চেপে ভারত থেকে মার্কিন মুলুকে পাড়ি দেবেন যাত্রীরা। শুধু কি ভারত থেকে মার্কিন মুলুকে? নাহ! হংকং থেকে সিঙ্গাপোর, লস অ্যাঞ্জেলস থেকে টরন্টো, ব্যাঙ্কং থেকে দুবাই, সব দূরত্ব অতিক্রম করা যাবে এক ঘণ্টার কম সময়ে। লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে টরন্টো পৌঁছনো যাবে ২৪ মিনিটে, লন্ডন থেকে নিউইয়র্ক ২৯ মিনিটে, এবং নিউইয়র্ক থেকে সাংহাই ৩৯ মিনিটে পৌঁছনো যাবে৷ স্পেস এক্স কর্ন্ধার ইলন মাস্ক জানিয়েছেন, হ্যাঁ, এমনটা অসম্ভব নয়, হতেই পারে অদূর ভবিষ্যতে।
স্টারশিপ রকেটে এক হাজার যাত্রী চাপতে পারবেন একসঙ্গে। বছর দশেক আগেই স্টারশিপ রকেটের প্রস্তাব রাখা হয়েছিল মার্কিন ক্যাবিনেটে।
ট্রাম্পের ক্যাবিনেটে ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্মেন্ট এফিশিয়েন্সি -র দায়িত্ব পেয়েছেন মাস্ক। দায়িত্ব পেয়ে উত্তেজনায় টগবগ করছেন মাস্ক। ইতিমধ্যেই ঘোষণা করে ফেলেছেন "Earth-to-Earth" space travel project । যদি সত্যিই ৩০ মিনিটের মধ্যে প্রায় ১৩০০০ কিলোমিটার দূরে থাকা দুই জায়গায় যাতায়াত সম্ভব হয়, তাহলে তা পরিবহনের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী তো হবেই।