উত্তুরে হাওয়ার হাত ধরে শীত এসেছে তিলোত্তমায়। রোজই নামছে তাপমাত্রার পারদ। শীতের এই আমেজে বাজারে গেলেই দেখা মেলে রকমারি সবজির। আর এই সব সবজিগুলির মধ্যে অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর একটি সবজি হল ফুলকপি। যা গোটা শীতকালজুড়ে বাঙালিকে সকাল, দুপুর, বিকেল এমনকি সন্ধ্যের জল খাবারেরও রসনা তৃপ্তি দেয়।
ফুলকপির বিভিন্ন পদ খেতে সুস্বাদু তো বটেই সঙ্গে রয়েছে প্রচুর গুনাগুণও। শীতের সবজি ফুলকপিতে জলের পরিমাণ থাকে ৮৫ শতাংশ। এছাড়াও এতে খুব অল্প পরিমানে কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট ও প্রোটিন থাকে। কম থাকে ক্যালোরিও। বরং এতে থাকে ভিটামিন, মিনারেল, আয়রন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
যারা বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার কারণের যারা কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট ও প্রোটিন জাতীয় খাবার খান না, ফুলকপি তাঁদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এছাড়াও গর্ভবতী মহিলা, শিশুর বৃদ্ধিকাল তথা কিশোর-কিশোরী এবং যারা অতিরিক্ত পরিমাণে শারীরিক পরিশ্রম করে থাকেন তাদের দৈহিক চাহিদা পূরণের জন্য ফুলকপি খুবই উপকারী একটি সবজি।
এক নজরে ফুলকপির গুনাগুণ -
১.পুষ্টির জন্য সাহায্য করে
শরীর সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখার জন্য সঠিক পরিমাণে পুষ্টির প্রয়োজন। নিয়মিত ফুলকপি খেলে দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয়। কারণ ফুলকপিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন-সি থাকে। পাশাপাশি আছে ভিটামিন কে, ভিটামিন বি৬, প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ফাইবার, পটাসিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ।
২.মস্তিস্কের স্বাস্থ্য
ফুলকপিতে যৌগ কোলাইন থাকে। কোলাইন আদতে ভিটামিন-বি। যা মস্তিস্কের উন্নতিতে সাহায্য করে। প্রেগনেন্সির সময় ফুলকপি খেলে তা ভ্রূণের মস্তিস্কের গঠনে সাহায্য করে। এছাড়াও ফুলকপি ক্যানসার প্রতিরোধ করে।
৩. কোলস্টেরল কমায়:
এতে প্রচুর ফাইবার আছে, যা শরীরে কোলস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও থাকে যৌগ সালফেরাফেন। যা ব্লাড প্রেশার ঠিক রাখে।
৪.হজমে সহায়ক:
ফুলকপিতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও সালফার-জাতীয় উপাদান। যা খাবার হজমে সাহায্য করে।
৫. ওজন কমাতে:
ফুলকপি ওজন কমায়। এছাড়াও ফুলকপিতে ভিটামিন ‘বি’, ‘সি’ এবং ‘কে’ রয়েছে, যা সর্দি, কাশি তথা জ্বর, গা-ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এমনকি আমাদের দেহে রোগ প্রতিরোধ করে ফুলকপি।
৬. দাঁত ও মাড়ির উপকার:
ফুলকপিতে দাঁত ও মাড়ির জন্য উপকারী। এতে ক্যালসিয়াম ও ফ্লোরাইড নামক উপাদান রয়েছে। ক্যালসিয়াম আমাদের দেহের হাড় শক্ত করে।