থাইরয়েড অত্যন্ত পরিচিত একটি রোগ । এখন এটা সাধারণ বিষয় হয়ে উঠেছে । মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে প্রত্যেকের শরীরে এই সমস্যা দেখা দেয় । বিশেষ করে মহিলারা বেশি আক্রান্ত হন থাইরয়েডে । থাইরয়েড গ্ল্যান্ড থেকে এই রোগের উৎপত্তি । এই গ্ল্যান্ড বা গ্রন্থির আকৃতি অনেকটা প্রজাপতির মতো । এই গ্রন্থির কাজ হল শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় হরমোন উৎপাদন করা । তবে নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে কম বা বেশি হরমোন উৎপাদিত হলেই শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে শুরু করে । হরমোন কম উৎপাদন হলে বলা হয় হাইপোথাইরয়েডিজম । আর বেশি উৎপন্ন হলে বলা হয় হাইপারথাইরয়েডিজম ।
থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে যে লক্ষণগুলি দেখা যাবে, সেগুলি হল ঘুমঘুমভাব, ক্লান্তি, পেশির দুর্বলতা, ওজন হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া ইত্যাদি । এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণের উপায় ? হরমোন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কয়েকটি খাবার নিজেদের খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন ।
ডিম
ডিমের সাদা অংশের পাশাপাশি কুসুমেও প্রচুর পুষ্টিগুণ রয়েছে । যা থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে । ডিমে ভাল পরিমাণে সেলেনিয়াম ও আয়োডিন থাকে।
টক দই
দুগ্ধজাত পণ্য যেমন টক দই থাইরয়েডের জন্য ভাল । এমনকি, দুধও আপনি আপনার খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন । দুধ, দই শরীরে আয়োডিনের সঠিক পরিমাণ বজায় রাখতে সাহায্য করে ।
বাদাম ও বীজ
বাদামের মধ্যে আমন্ড এবং কাজুবাদাম থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে । এছাড়া সূর্যমুখী এবং কুমড়োর বীজ শরীরে জিঙ্কের উপাদান নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ।
মাছ
ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং সেলেনিয়ামের উৎস হল মাছ । কড, বেকড স্যামন বা হ্যাডক- এই ধরনের মাছ শরীরে সেলেনিয়াম এবং ওমেগা-থ্রি পূরণ করতে সাহায্য করে ।