কয়েক বছর আগেও বাঙালিদের মধ্যে ধনতেরাস নিয়ে তেমন কোনও উন্মাদনা ছিল না। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে৷ দেশের অন্য রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গ তথা কলকাতাতেও মহাসমারোহে পালিত হয় ধনতেরাস। শহরের অবাঙালি সম্প্রদায়ের পাশাপাশি তাতে সোৎসাহে অংশ নেন বাঙালিরাও।
সাধারণত দীপাবলি বা কালীপুজোর দু'দিন আগে পালিত হয় ধনতেরাস. এই উৎসবের আরেকটি নাম হল ধনাত্রয়োদশী। একদম ঠিক করে ভেঙে বললে, ধনাবত্রী ত্রয়োদশী। কার্তিক মাসে কৃষ্ণপক্ষের ১৩-তম দিনে পালিত হয় ধনতেরাস।
Science Of Love: 'ভালবাসার তুমি কী জান'? ভালবাসলে নাকি জিনেও আসে বদল! বলছে আধুনিক গবেষণা
ব্যবসায়ী মহলে মহা ধূমধামে ধনতেরাস উদযাপন করা হয়। মা লক্ষ্মীর পাশাপাশি সোনার মতো মূল্যবান ধাতু কিনে কুবেরের পুজোও করেন অনেকে৷ ধনতেরাসের শুরু নিয়ে দু'টি মত প্রচলিত আছে৷ একটি মত অনুযায়ী, 'ধন' অর্থে মা লক্ষ্মী। কিন্তু অন্য মতটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে এক আশ্চর্য গল্প।
রাজা হিমুর সন্তানের উপর অভিশাপ ছিল, বিবাহের চারদিনের মধ্যে সাপের কামড়ে তাঁর মৃত্যু অনিবার্য। একথা জানতেন যুবরাজের স্ত্রী৷ তাই কিছুতেই স্বামীকে ঘুমোতে দেননি তিনি৷ জাগিয়ে রেখেছিলেন গানে, গল্পে। ঘরের বাইরে রাখা ছিল বিপুল পরিমাণে সোনা, রূপো। যুবরাজকে নিতে যমরাজ যখন এলেন, তাঁর চোখ ঝলসে গেল সোনার ঔজ্জ্বল্যে। ঘরে ঢুকে তিনি দেখেন, যুবরাজকে গল্প শোনাচ্ছেন তাঁর স্ত্রী। যমরাজও মুগ্ধ হয়ে গল্প শুনতে থাকে৷ প্রহরের পর প্রহর পেরোয়। রাত কাটে। যুবরাজকে আর নিয়ে যেতে পারেন না যমরাজ। তাঁর প্রাণ রক্ষা পায়। সেই আনন্দে পরের দিন পালিত হয় ধনতেরাস।
২০১৬ সাল থেকে এই দিনটিকে জাতীয় আয়ুর্বেদ দিবস হিসাবেও পালন করে আসছে আয়ুষ মন্ত্রক। হিন্দু পুরাণ মতে, সমুদ্র মন্থনের পর এক হাতল আয়ুর্বেদের বই, অন্য হাতে অমৃতের কলস নিয়ে উঠে আসেন ধন্বন্তরী। সেই কারণে এই দিনটিকে
ধন্বন্তরী ত্রয়োদশীও বলা হয়।