শাহি থেকে পালং, বাটার থেকে কাবাব পনিরের আগে পরে যাই বসান না কেন তা নিঃসন্দেহে বাঙালির পছন্দের। আমিষ হোক বা নিরামিষ পনির পাতে পড়লেই তা নিমেষে চেটেপুটে সাফ হয়ে যায়। সুতরাং বলাই যায় বাঙালি বলা ভালো ভারতবাসীরই ঘরের খাবার হয়ে উঠেছে পনির। কিন্তু জানেন কি? পনির ভারতের স্থানীয় খাবার নয়৷ এর পিছনে রয়েছে এক লম্বা ইতিহাস।
বৈদিক যুগে গোরুকে ভগবান রূপে পূজার চল ছিল, তাই দুধ ছানা কাটানোর পদ্ধতিকে অপবিত্র ধরা হত৷ তাই প্রাচীন ভারতের ইতিহাসে মাখন, ঘি এর উল্লেখ থাকলেও পনিরের কথা নেই৷ একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, ১৬ শতকে উত্তর ভারতে শাসনকারী পারস্য ও আফগান শাসকরা খেতেন পনির। সেই সময়ে ছাগল বা ভেড়ার দুধ ব্যবহার করে পনির তৈরি করা হত। এরপর ১৭ শতকে পর্তুগিজরা ভারতে এসে সাইট্রিক অ্যাসিড ব্যবহার করতেন, সেই কায়দাই রপ্ত করে নিয়েছিলেন ভারতীয়রাও।