কর্মক্ষেত্রে খুবই কাজের চাপ। দিনের শেষে কান্না পায়? পাক। চোখের জল মুছিয়ে দেবেন কোনও এক সুপুরুষ যুবক। এমন আবার হয় নাকি? হ্যাঁ এমনটাই হচ্ছে। হ্যান্ডসাম যুবকদের টাকার বিনিময়ে ভাড়া করা যাচ্ছে, কেন? কর্মীর কাজের চাপ ভুলিয়ে দেবেন, সুখ দুঃখের কথা শুনবেন, এমন কী পাশে বসে কাঁদবেনও।
জাপানে কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ দিন দিন হয়ে উঠছে ভয়াবহ। কান্না পাওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু কাজের জায়গায় কাঁদা যাবে না, এমন জড়তা ক্রমশ কাটছে, বরং কাঁদার সঙ্গীই ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে।
৭৯০০ ইয়েন থেকে শুরু হচ্ছে সে সব সঙ্গী ভাড়া করার খরচ। তিনি কখনও চোখ মুছিয়ে দেবেন, কখনও একসঙ্গে কাঁদবেন, ঠিক সময়ে কান্না না এলে? তখন একসঙ্গে বসে আবেগে ভরপুর কিছু দেখা হবে, যাতে তাড়াতাড়ি কান্না পায়।
হিরোকি তেরাই-এর মস্তিস্ক প্রসূত এই ভাবনা। তিনিই প্রথম বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলেন একসঙ্গে বসে কাঁদলেও মানুষের মানসিক শক্তি বাড়ে। তাঁর বিশ্বাস, মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য ভেঙে পড়া ভাল, ভেঙে পড়ে আর পাঁচজনকে নিজের কষ্টের কথা বললে আখেরে মন ভালোই থাকে।