আজ,ছেলেদের দিন । প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে, ১৯ নভেম্বর আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস পালন করা হয় । একেক বছরে থাকে একএকরকম থিম । এবারের থিম যেমন পুরুষ ও ছেলেদের সাহায্য করা । সমাজে পুরুষদের অবদান কী, তা তুলে ধরাই এই বিশেষ দিনের উদ্দেশ্য । কিন্তু, সাম্প্রতিককালে, পুরুষদের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা । গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বিশ্বজুড়ে পুরুষদের মধ্যে শুক্রাণুর সংখ্যা ও তার ঘনত্ব ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে । যা ভবিষ্যতে পৃথিবীর প্রজনন স্বাস্থ্যের উপর ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলবে । শুধু প্রজনন নয়, ছেলেদের শরীরের নানা রকম রোগও দেখা দিতে পারে ।
হিউম্যান রিপ্রোডাকশন আপডেট জার্নালে গবেষণাটি প্রকাশিত করা হয়েছে । ২০১১ থেকে ২০১৮...প্রায় ৭ বছর ধরে গবেষণাটি চলেছে । গবেষকরা ৫৩টি দেশের ৫৭ হাজারেরও বেশি পুরুষের শুক্রাণুর নমুনার ভিত্তিতে ২২৩ টি গবেষণা বিশ্লেষণ করেছেন । এর মধ্যে দক্ষিণ আমেরিকা, এশিয়া এবং আফ্রিকার দেশগুলি অন্তর্ভুক্ত ছিল, যেখানে এই ধরনের গবেষণা আগে কখনও করা হয়নি । সেখানে গবেষণায়, পুরুষদের মধ্যে মোট শুক্রাণুর সংখ্যা এবং শুক্রাণুর ঘনত্ব হ্রাস লক্ষ্য করা গিয়েছে ।
তালিকায় নাম রয়েছে ভারতীয় পুরুষদেরও । বরং গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ভারতীয়দের মধ্যেই এই সমস্যাটা আরও বেশি । তাঁদের গবেষণায় দেখা গিয়েছে, গত ৪৬ বছরে সারা বিশ্বে শুক্রাণুর সংখ্যা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে । তবে, সাম্প্রতিক সময়ে শুক্রাণুর সংখ্যা ও ঘনত্বে হ্রাসের হার অনেক বেশি । সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে,মোটামুটি প্রতি বছর গড়ে ১ শতাংশ হারে কমে যাচ্ছে শুক্রাণু উৎপাদন । এটি অত্যন্তই ভয়ের বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা ।
শুক্রাণু উৎপাদন কমে যাওয়া মানেই প্রজনন স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব পড়া । পাশাপাশি পুরুষদের মধ্যে বিভিন্ন রোগ দেখা দিচ্ছে । যেমন ক্যানসার, হরমোন কিংবা যৌনাঙ্গের সমস্যা দেখা দেয় । কী কারণে শুক্রাণু সংখ্যা কমে যাচ্ছে ? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন অর্থাৎ লাইফস্টাইল, পরিবেশে উপস্থিত ক্ষতিকারক কিছু কেমিক্যাল উপাদান, পুরুষদের যৌন স্বাস্থ্যের অবনতির কারণ । পুরুষদের স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতন হতে বলছেন গবেষকরা । এই নিয়ে সচেতনতার প্রচার চালানোর পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা ।