হেঁটে চলেছেন রাতজাগা লক্ষ লক্ষ মানুষ। রাত পেরিয়ে ভোরেও কৃষ্ণনগরের রাজপথে থিকথিকে ভিড়। একটিবার বুড়িমা দর্শনের অপেক্ষায় অগণিত চোখ। প্রথম দিনের বিসর্জনে সমস্ত প্রতিমা নিরঞ্জনের পর সবশেষে বেয়ারাদের কাঁধে চেপে, সর্বাঙ্গে সোনা, রুপো, হীরের গয়না পরেই নিরঞ্জনের পথে এগিয়ে যান বুড়িমা। বুড়িমার বোন ছোট মা রাজবাড়ি প্রদক্ষিণ করে ঘাটে যাওয়ার সময় চাষা পাড়ার বুড়িমা যান রাজবাড়ির পথে। প্রথা মেনে কাঠালপোঁতা বারোয়ারির ছোট মা এবং চাষাপাড়ার বুড়িমার মুখোমুখি সাক্ষাৎ হয়, সেই দৃশ্য একবার চাক্ষুষ করতেও বছরভর অপেক্ষা চলে দর্শনার্থীদের।
কৃষ্ণনগরের ঐতিহ্যমন্ডিত জগদ্বাত্রী পুজোর প্রথম দিনের ভাসান কার্নিভালের শেষ হয় শহরের সবচেয়ে প্রাচীন প্রতিমা বুড়িমার নিরঞ্জনের পর। গয়না সমেত রাজবাড়ী ঘুরিয়ে ঘাটে নিয়ে যাওয়ার পর দীর্ঘ সময় ধরে খোলা হয় বুড়িমার গয়না। এবার ২৫০ বছরে পা রাখল বুড়িমার পুজো। কৃষ্ণনগর রাজবাড়ীর পুজোর প্রচলনের পর থেকেই চাষাপাড়া বারোয়ারি অর্থাৎ বুড়িমার পুজো হয়ে আসছে।