বাঙালির ১২ মাসে ১৩ পার্বণ । আজ দুর্গাপুজো তো কাল দোল, কিংবা পরশু আবার বাংলা নববর্ষ । ঠিক সেরকমই আরও একটি পার্বণ হল জামাইষষ্ঠী । জৈষ্ঠ্য মাসের এই একটা বিশেষ দিন জামাইদের জন্য । সাধারণত, সন্তানের মঙ্গল কামনায় 'ষষ্ঠী' পালন করা হয় । তা জামাই বাবাজীবনও তো সন্তানের মতোই । তাই তো আজ, ১২ জুন সকাল থেকেই তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে । গরম তো কি হয়েছে, জামাই আদরে কোনওরকম খামতি রাখতে চান না শ্বশুর, শাশুড়ি । ঘেমে নেয়ে থলে ভর্তি সবজি, মাছ, মাংস নিয়ে তড়িঘড়ি বাড়ি ফিরছেন শ্বশুর মশাই । ওদিকে, সকাল থেকেই রান্নাঘরে লুচি পর্ব দিয়ে খাওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছেন শাশুড়িরা । অনেকে বার রেস্টুরেন্টে গিয়ে জামাইষষ্ঠী পাল করতেই পছন্দ করেন । সব ভুলে যে আজই তো ইলিশ, মটন সহযোগে কব্জি ডুবিয়ে খাওয়ার দিন জামাইদের ।
ষষ্ঠীর দিন জামাইকে আম, জাম, লিচু, কাঁঠালের মতো ফল ভর্তি থালা সাজিয়ে দেন শাশুড়িরা । কপালে দইয়ের ফোঁটা দিয়ে আশীর্বাদ করেন । এদিন, জামাইকে নতুন বস্ত্র উপহার দেওয়ার রীতি রয়েছে । সেই সঙ্গে জামাইও শাশুড়িকে প্রণামী হিসেবে শাড়ি উপহার দেন । তারপর খাওয়া-দাওয়ার মাধ্যমে চলে উদযাপন । আজকাল আবার জামাইষষ্ঠীর পাশাপাশি বৌমাষষ্ঠীও পালন করা হয় ।
জামাইষষ্ঠীর শুভ সময়
১১ জুন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৫.৫৮ মিনিট থেকে জামাইষষ্ঠীর তিথি শুরু হচ্ছে । তিথি শেষ হচ্ছে ১২ জুন বুধবার সন্ধ্যা ৭ টা ২৪ মিনিটে ।
জামাইষষ্ঠীর নিয়ম
এদিন, ষষ্ঠীপুজোর পর একটি সুতোয় হলুদ মাখিয়ে তা জামাইয়ের হাতে বেঁধে দেওয়ার নিয়ম রয়েছে । তারপর জামাইকে পাখার হাওয়া দিয়ে ৩ বার বলতে হয় 'ষাট-ষাট-ষাট'। বিশ্বাস করা হয়, এই সুতো হাতে বেঁধে দিলে জামাইয়ের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক অটুট থাকে ।