উত্তর কলকাতার প্রধান আকর্ষণ যদি হয় বনেদিয়ানা আর ঐতিহ্য,তাহলে দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করতে দক্ষিণ কলকাতার অধিকাংশ পুজোর ভরসা দুর্দান্ত সব থিম। কেবলমাত্র সমকালীন বিভিন্ন বিষয়ই নয়, দক্ষিণ কলকাতার বেশ কিছু পুজোর থিম তার থেকে আরও বেশি কিছু। বিষয় ভাবনার বৈচিত্র্য, দুর্দান্ত উপস্থাপনা এবং সৃজনশীলতায় অন্য বছরগুলির মতো এবারও দর্শকদের মন কাড়তে তৈরি ৯৫ পল্লী যোধপুর পার্ক।
প্রতি বছরই প্রচুর মানুষ ভিড় করেন এই পুজোর মণ্ডপে। এই বছর যোধপুর পার্ক ৯৫ পল্লীর থিম- ত্রিকাল। তিনটি কাল ছুঁয়ে থাকে আমাদের অস্তিত্ব, আমাদের যাপন- অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ। কিন্তু এই তিনটি সময়খণ্ড কি আদৌ একে অন্যের থেকে বিচ্ছিন্ন? নাকি তাদের বেঁধে রেখেছে এক অদৃশ্য সুতোর বন্ধন? যোধপুর পার্ক ৯৫ পল্লীর পুজোর মণ্ডপ এমনই বিভিন্ন বিষয়ে চিন্তার খোরাক জোগাবে দর্শনার্থীদের।
উদ্যোক্তাদের মণ্ডপ ভাবনায় রয়েছে অভিনবত্বের ছোঁয়া। রয়েছে বাঁশ এবং টিনের মনোমুগ্ধকর ব্যবহার। মণ্ডপসজ্জার ভাবনার নেপথ্যে রয়েছে একটি বোধ। রয়েছে অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের সঙ্গে সংযোগের বিন্দুটি খোঁজার চেষ্টা। মণ্ডপসজ্জা বলছে, অতীত হল ফেলে আসা বর্তমান৷ ভবিষ্যৎ হল অনাগত বর্তমান। অর্থাৎ কোনওটিই বিচ্ছিন্ন নয়। সেই সঙ্গে রয়েছে সমাপতনের ইঙ্গিতও। অতীত এসে বর্তমানে মেশে, বর্তমান মেশে ভবিষ্যতে। বিভিন্ন সময়খণ্ডকে জুড়ে রাখে এক আশ্চর্য অনুভবের সুতো, উপলদ্ধির অদৃশ্য মায়াজাল।
থিমের সঙ্গে আবহ অত্যন্ত সঙ্গতিপূর্ণ। সুশান্ত পালের ভাবনায় সেজেছে মণ্ডপ। প্রতিমাও হয়েছে নজরকাড়া, রয়েছে অভিনবত্ব। যোধপুর পার্ক ৯৫ পল্লীর পুজোয় না গেলে কিন্তু বড়সড় মিস।