আলোর উৎসব দীপাবলি প্রায় দোরগোড়ায়। প্রস্তুতিতে মগ্ন গোটা দেশ৷ দীপাবলিকে কেন্দ্র করে সেজে উঠেছে গোমতী ত্রিপুরা জেলা উদয়পুরে অবস্থিত মাতা ত্রিপুরেশ্বরীর মন্দির৷ মাতা সতীর ৫১ পীঠের মধ্যে অন্যতম এই তীর্থস্থান।
এই পুজোর ইতিহাস অত্যন্ত প্রাচীন ও সমৃদ্ধ। মন্দিরের পুরোহিত হারাধন চক্রবর্তী জানিয়েছেন সেই ইতিহাস। সালটা ১৫০১ খ্রিস্টাব্দ। আজ থেকে ৫২১ বছর আগের কথা। ত্রিপুরার রাজা ধন্যমাণিক্যকে স্বপ্নে দেখা দিলেন মা ত্রিপুরেশ্বরী। রাজা স্বপ্নে দেখলেন, ত্রিপুরেশ্বরী অবস্থান করছেন অধুনা বাংলাদেশের চট্টগ্রামে। সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে আসার নির্দেশ দিলেন দেবী।
এর আগে গোমতী ত্রিপুরা জেলার উদয়পুরে ছিল এই মন্দির। তখন এর নাম ছিল কৃষ্ণ মন্দির। উদয়পুটে মা ত্রিপুরেশ্বরীর বেদিতে শালগ্রাম শিলা এখনও বিরাজমান।
মাতা সতীর ৫১ পীঠের অন্যতম এই তীর্থস্থান। এখানে সতীর ডানপায়ের বুড়ো আঙুলটি পড়েছিল বলে কথিত।
ত্রিপুরেশ্বরী মায়ের মন্দিরের পুরোহিতরাও ধন্যমাণিক্যের আমল থেকে বংশানুক্রমে পুজো করে আসছেন।
আগে রাজারাই পুজোর খরচ বহন করতেন, এখন দায়িত্ব সরকারের।
প্রত্যেক অমাবস্যায় একটি মহিষ এবং ৫টি পাঁঠা সরকারের তরফে বলি দেওয়া হয়। প্রতিদিন সকাল ১১টায় ভক্তরা পাঁঠাবলি দেন। মায়ের মন্দিরে ভোগ দেওয়া হয় প্যাঁড়া দিয়ে। মন্দিরের সামনে রয়েছে কল্যাণসাগর নামে দিঘি। সেখানকার বাসিন্দা মাছ ও কচ্ছপকে খাওয়ান ভক্তরা।