ঘুমোতে যান রোজই ঠিকই, কিন্তু, বিছানা করার ব্যাপারে তীব্র অনীহা? জানেন, প্রতিদিনের বিছানা করার অভ্যাসের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইতিবাচক দিক রয়েছে? যা শারীরিক ও মানসিক- দুভাবেই ভারসাম্য নিয়ে আসতে পারে জীবনে। যাঁরা প্রতিদিন নতুন করে বিছানা করে ঘুমোতে যাওয়ার পক্ষপাতী, তাঁরা বাকিদের থেকে খানিকটা এগিয়েই থাকেন এই কারণেই।
প্রত্যহ নিজের বিছানা করার উপকারিতা কী কী, তা একটু দেখে নেওয়া যাক একবার:
১) সাফল্যের অনুভূতি দেয়: শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। নিজের জিনিসগুলো ঠিকভাবে গুছিয়ে রাখা বা নিজের বিছানাটা ঠিকভাবে করে নেওয়া- এই কাজগুলি সবসময়ই একটি সাফল্যের বোধ তৈরি করে ব্যক্তির মধ্যে। যা জীবনের যে কোনও ধরনের লড়াইয়ের মুখোমুখি হওয়ার জন্য খুব জরুরি।
২) ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে ঘুমোতে যাওয়া: সাধারণত, চোখ বন্ধ করলেই আমাদের মনে রাজ্যের চিন্তা এসে ঘাঁটি গেঁড়ে বসে। নিজে পরিপাটি করে বিছানা করলে এই ধরনের দুশ্চিন্তা ঘুমের সময় মনের মধ্যে অত সুচারুভাবে বাসা বাঁধতে পারে না। যে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়, সেটিই ওই ধরনের দুশ্চিন্তাকে তাড়ানোর কাজ করার পক্ষে যথেষ্ট।
৩) মানসিক চাপ কমে: কোনও দায়িত্ব, তা সে দেখতে যতই সামান্য হোক না কেন, তা সুষ্ঠুভাবে পালন করতে পারলে এক ধরনের তৃপ্তি আসে। যা অনেক অযথা স্ট্রেসকে মুছে দিতে সাহায্য করে। ঘুমের আগে পরিপাটি করে বিছানা করার অমন তৃপ্তিরই জন্ম দেয়।
৪) ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করে: ভরপুর ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করতেও সাহায্য করে রোজকার এই অভ্যাস। যার ফলে, পরের সকালটা সুন্দর হওয়ার সম্ভাবনাও অনেকটাই বৃদ্ধি পায়। অগোছালো ও নোংরা বিছানায় শুলে এমনটা হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। প্রায় নেই বললেই চলে।
৫) সুঅভ্যাস তৈরিতে সাহায্য করে: রোজকার বিছানা করার অভ্যাস অন্যান্য ভাল অভ্যাস গড়তেও সাহায্য করে। মনে হয়, শুধু বিছানাটাই নয়, ঘরটাও একটু গুছিয়ে রাখি। মনে হয়, বাথরুমটা পরিষ্কার করি নিয়মিত। রান্নাঘরে ঝাড়পোঁছ করে রাখি ঠিকভাবে, যাতে আরশোলা-ইঁদুররা জায়গা না করতে পারে।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বোধ মানুষের মধ্যে এক ধরনের রুচি তৈরি করে। যা জীবনকে ইতিবাচকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।