চলতি বছরের কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো পড়ছে রবিবার। এই কোজাগরী লক্ষ্মীর আরাধনায় চিরকালের অংশ হয়ে উঠেছে আলপনা। লক্ষ্মীপুজোয় কবে প্রথম ব্যবহার করা হয়েছিল আলপনা, তা জানা যায় না। তবে, কথিত আছে, যে ভক্ত সারা রাত নিষ্ঠাভরে জেগে থাকেন দেবীর অপেক্ষায়, দেবী তাঁর ঘর আলো করে আসেন। চুপচাপ তিনি পুজোর ঘরে প্রবেশ করেন চৌকাঠ পেরিয়ে। লক্ষ্মীর পায়ের প্রতীকী ছাপও তাই থাকে আলপনায়।
সাধারণত চালের গুঁড়োর পিটালির মধ্যে ছোট এক টুকরো কাপড় কিংবা পাটের টুকরো ভিজিয়ে নিয়ে অনামিকা দিয়ে আলপনা আঁকা হয়। আলপনার ছবিগুলো পুরু রেখায় তৈরি ও দ্বিমাত্রিক।
লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষে বহু ধরনের আলপনা দেওয়া হয়, তবে, তার মধ্যেও সবথেকে বেশি প্রচলিত হল 'কোজাগরী আলপনা'। কোজাগরী, অর্থা়ৎ ‘কে জাগে রে?’ যে জেগে থাকবে তার ঘরে মা লক্ষ্মী আসবেন পায়ে হেঁটে, ছ়ড়িয়ে যাবেন ধান। তাই আলপনায় এই লক্ষ্মীর পা ও ধানের নকশা থাকে। লম্বা আঁকাবাঁকা রেখায় ধান আঁকা হয়, চারপাশে থাকে ধানের শিষ। আর তার দু’পাশেই দেখা যায় মা লক্ষ্মীর পা।
নারী-পুরুষ নির্বিশেষেই দিতে পারেন আলপনা। বাংলার বহু ঘরেই যে শিল্পের আঁতুরস্থান, তা বোঝা যায় এই আলপনা দেখলেই।