পুজো আসছে তার অনন্দই বেশি, শুরু হলেই যেন শেষ। নবমী নিশি হতেই মন খারাপ শুরু হয়ে যায় বাঙালির। দশমীতেই বিসর্জন উমার। আবার একটা বছরের দীর্ঘ অপেক্ষা। তবে দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের আগে চলে বরণ পর্ব, সিঁদুর খেলা। সধবারা এই দিনে মেতে ওঠেন সিঁদূর খেলায়৷ একজন আরেকজনের গালে কপালে মাখিয়ে দেন সিঁদুর, হাতে তুলে দেন আলতা। তবে এই খেলা কিন্তু নিছকই আচার নয়।
কবে থেকে এই রীতির প্রচলন তার সঠিক দিনক্ষণ জানা সম্ভব নয়, তবে ইতিহাস বলছে আজ থেকে ঠিক ২০০ বছর আগেই বর্ধিষ্ণু জমিদার পরিবারগুলিতে দশমীর দিন প্রতিমা বিসর্জনের আগে স্বামীর মঙ্গল কামনায় সীমন্তিনীরা একে অপরকে সিঁদুর ছুঁইয়ে এই রীতি পালন করতেন। আবার কেউ কেউ বলেন এর প্রচলন ৪০০ বছর আগে, নিছকই খেলার ছলে আনন্দে মাততে এই রীতি চালু হয়েছিল।
তবে পুরাণ মতে সিঁদুর খেলার অন্য তাৎপর্যও রয়েছে। হিন্দুদের ভবিষ্য পুরাণ বলে, সিঁদুর ব্রহ্মের প্রতীক। আসলে সধবারা স্বামীদের দীর্ঘায়ু কামনাতেই সিঁথি রাঙান। তবে দশমীতেই কেন সিঁদুর খেলা হয়? দশমীকে বিজয়াই বা কেন বলা হয়? এই নিয়েও রয়েছে একাধিক মতবাদ। বলা হয়, মহিষাসুর বধের পর মা দুর্গার বিজয়ের দিনটিকেই 'বিজয়া' বলে উল্লেখ করা হয়। রাত পোহালেই নবমী নিশি। তারপর আলোয় সেজে ওঠা মণ্ডপে বাজবে বিষাদের সুর, ফিরে যাবে উমা। সিঁদুর খেলা, প্রতিমা নিরঞ্জনের পর মিষ্টিমুখ। তারপরেই ফের ভারাক্রান্ত হবে মন। আবার শুরু হবে দিনগোনার।