'বাঘ'। দুই অক্ষরের এই শব্দ শুনলেই মনের মধ্যে বিস্ময়, আতঙ্ক, অভিভূত ভাব- সবই নিমেষে খেলা করে যায়। ডোরাকাটা হলুদ চামড়ার এই চতুষ্পদ প্রাণীটিকে নিয়ে যুগের পর যুগ ধরেই মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। তাকে নানাভাবে জানার পরেও, তবু মনে হয়, কিছু মায়া রহিয়াই গেল!
২৯ জুলাই পালন করা হয় আন্তর্জাতিক ব্যাঘ্র দিবস। বিশ্ব জুড়েই এই দিনটিতে পশু সাম্রাজ্যের অন্যতম 'ম্যাজেস্টিক' এই প্রাণীটিকে নিয়ে চলে আলোচনা ও সচেতনতা বৃদ্ধির নানা উদ্যোগ।
যথেচ্ছ শিকার, জলবায়ুর পরিবর্তন এবং অন্যান্য কারণে বাঘের সংখ্যা কমতে কমতে ক্রমশ তলানিতে ঠেকার পরেই টনক নড়েছিল প্রশাসনের। ভারত-সহ অন্যান্য দেশের ব্যাঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্পগুলির উপর জোর দেওয়া হয়। এই মুহূর্তে বিশ্বজুড়ে বাঘের সংখ্যা সরকারি হিসেব অনুযায়ী, সাড়ে ৪ হাজারে কিছু বেশি। যার মধ্যে, শুধুমাত্র ভারতেই বাঘ রয়েছে সরকারি হিসেব অনুযায়ী, ৩ হাজারের কিছু বেশি। যার অধিকাংশই রয়েল বেঙ্গল টাইগার প্রজাতির।
যদিও, শুধুমাত্র রয়েল বেঙ্গল টাইগারই নয়। বাঘের আরও কিছু প্রজাতি রয়েছে, যেগুলির বেশিরভাগের সদস্য সংখ্যাই কমের দিকে। এই প্রজাতিগুলি হল- সুমাত্রান টাইগার, জাভা টাইগার, বালি টাইগার, ক্যাসপিয়ান টাইগার, সাইবেরিয়ান টাইগার, সাউথ চায়না টাইগার, ইন্দোনেশিয়ান টাইগার এবং মালয় টাইগার।