‘আজ আমাদের ন্যাড়াপোড়া, কাল আমাদের দোল, পূর্ণিমাতে চাঁদ উঠেছে, বলো হরি বোল’, দোলের আগের দিন থেকেই শুরু হয়ে যায় উদযাপন। আগের দিন ন্যাড়াপোড়া , কেউ কেউ বুড়ির ঘর পোড়ানোও বলে, বাংলার বাইরে এই লোকাচারের নাম হোলিকা।
জানেন কি এই হোলিকা দহনের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে পুরাণের কাহিনি…
নারদের প্রশ্রয়ে থেকে হিরণ্যকশিপুর পুত্র প্রহ্লাদ বিষ্ণুভক্ত হয়ে উঠেছিলেন। হিরণ্যকশিপুর কানে এই খবর যাওয়া মাত্র ক্ষেপে উঠে নিজের পুত্রকেই হত্যা করতে উদ্যোগী হন। ডাক পড়ে হিরণ্যকশিপুর বোন হোলিকার (Holika), আগুন যাকে স্পর্শ করতে পারে না৷ প্রহ্লাদকে কোলে নিয়ে লেলিহান আগুনে প্রবেশ করেছিলেন হোলিকা৷
পূরাণ অনুযায়ী, হোলিকা ব্রহ্মার কাছ থেকে এমন একটি শাল পেয়েছিলেন, যা তাঁকে আগুন থেকে রক্ষা করত। প্রহ্লাদকে নিয়ে হোলিকা আগুনে প্রবেশ করার সময়েই গায়ের শালটি তাঁর কাছ থেকে প্রহ্লাদের গায়ে গিয়ে পড়ে। ফলে প্রহ্লাদ বেঁচে যায়। আগুনে দগ্ধ হয়ে যায় হোলিকা।