ডায়াবিটিস রোগী (Diabetes Patient) মানেই কলা থেকে শতহস্ত দূরে । শুধু ডায়াবিটিস রোগী নয়, ডায়াবিটিস হতে পারে এরকম ব্যক্তিকে কলা (Banana for Diabetes patient) খেতে বারণ করা হয় । কারণ কলা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে । তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা ডায়াবিটিস রোগীদের কলা খেতে বারণ করেন । তবে, কয়েকজন বিশেষজ্ঞের মতে, ডায়াবিটিস রোগীরা (Diabetes Food) কলা খেতেই পারেন । তবে, তার জন্য কয়েকটি বিষয় মেনে চলতে হবে ।
আমরা সাধারণত পাকা কলা খাই বা খেতে পছন্দ করি । কিন্তু, কলা যত সবুজ হবে, এর মিষ্টতা তত কম হবে এবং তা ডায়াবিটিস রোগীদের জন্যও খুব উপকারী । সেক্ষেত্রে, কাঁচাকলা বেশ উপকারী । বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনও রোগী কলা খেতে পারবেন কি না, তার অনেকটাই নির্ভর করছে কলা কতটা পেকেছে তার উপর ।
আরও পড়ুন, 4 day week trial in UK: তিন দিন ছুটি-চার দিন কাজ, দুনিয়ার সবচেয়ে বড় ট্রায়াল শুরু ব্রিটেনে
কাঁচা কলা : এই ধরনের কলা ডায়াবেটিক ও প্রি-ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ভাল । এই ধরনের কলায় থাকে ‘রেসিস্ট্যান্ট স্টার্চ’, যা ক্ষুদ্রান্ত্রে দ্রুত পাচিত হয় না । বরং রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে । কাঁচকলা দিয়ে নানাধরনের খাবার তৈরি করতে পারেন । যেমন- কাঁচকলার কোফতা, শুক্তোর মধ্যে কাঁচকলা দারুণ লাগে । আর পেটের গন্ডগোল হলে কাঁচকলা তরকারি উপকারী ।
পাকা কলা: পাকা কলাতে থাকে পটাশিয়াম ও ভিটামিন বি৬। কিন্তু পাকা কলাতে কিছু প্রাকৃতিক সুইটনেস থাকে । এই কলা হার্ট, হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল । তবে ডায়াবিটিস রোগীদের এই ধরনের কলা এড়িয়ে চলাই ভাল । প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে ।
বেশি পাকা কলা: কলা যখন বেশি পেকে যায় ও কিছুটা খয়েরি রঙের হয়ে যায় তখন তা ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য একেবারেই ভাল নয় । এই ধরনের কলা সহজ পাচ্য । কিন্তু, এতে প্রাকৃতির সুইটনেস আরও বেশি থাকে । এই ধরনের কলায় স্টার্চ ভেঙে একেবারে ন্যাচরাল সুগারে পরিণত হয় । ফলে এই ধরনের কলা খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ দ্রুত বেড়ে যেতে পারে ।
সেক্ষেত্রে, কাঁচাকলা ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী । এই ধরনের কলা তাঁরা খেতেই পারেন । পাকা কলার ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিলেই ভাল । তবে,বেশি পাকা কলা অর্থাৎ খয়েরি রঙের কলা ডায়াবেটিক ও প্রো ডায়াবেটিক রোগীদের এড়িয়ে চলা উচিৎ ।