জলের আরেক নাম জীবন। এ কথা আমরা জেনে এসেছি সেই ছোটবেলা থেকেই। শুধু তাই নয়। চিকিৎসকরা সবসময়ই প্রচুর জল খাওয়ার ব্যাপারে পরামর্শ দেন শরীর ঠিক রাখার জন্য। যদি জল কম খাওয়ার অভ্যেস থাকে, তাহলে এখনই সতর্ক হয়ে যান। অকালবার্ধক্যের নেপথ্যেও রয়েছে ডিহাইড্রেশন! জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। ল্যানসেটের নতুন গবেষণা থেকেও জানা যাচ্ছে এই তত্ত্ব।
ল্যানেসেটের জার্নাল বায়োমেডিসিনের এই গবেষণা জানাচ্ছে, প্রচুর জলপান করলে তা যেমন শরীরকে অন্যান্য রোগের প্রকোপ থেকে রক্ষা করে, তেমনই রক্ষা করে অকালবার্ধক্য থেকেও। ১১,২০০-র বেশি মানুষের ওপর এই গবেষণা চালানো হয়। অন্তত ৩০ বছর ধরে চালানো হয়েছে এই বিপুল সমীক্ষা। প্রথমে তাঁদের পঞ্চাশে চালানো হয়েছিল। তারপর তাঁদের বয়স যখন ৭০ বছর থেকে ৯০ বছরের মধ্যে, তখন আরও একবার গবেষণা করা হয়।
গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, যাঁদের শরীরে সিরাম সোডিয়াম মাপ ১৪২ মিলিমোলের ঊর্ধ্বে, তাঁদের মধ্যে ৩৯ শতাংশেরই বড় রোগ হওয়ার সম্ভাবনা। এমনকি, যখন বার্ধক্য আসার কথা, তার আগেই বার্ধক্য চলে আসে এঁদের মধ্যে অন্তত ৫০ শতাংশ মানুষের।
যাঁদের শরীরে সোডিয়ামের মাপ ১৪৪-এর উপরে, তাঁদের অকালমৃত্যুর সম্ভাবনাও আছে বলে জানিয়েছে সমীক্ষা।