মন্দির চত্বর থেকে ছাগবলির রক্তস্রোত মহানন্দায় না মেশা পর্যন্ত থামে না বলি। মন্দিরের চাতাল থেকে নদী ৭০০ মিটার। মন্দির থেকে মাটি কেটেই তৈরি করা থাকে পথ। যা দিয়ে রক্ত মেশে নদীতে। ৫০০ বছরের প্রাচীন মালদার রতুয়ার গোবরজনার কালী মন্দিরে এখনও সেই নিয়ম মানা হয়।
মালদার চাঁচল মহকুমার ২ নম্বর ব্লকে আছে এই গোবরজনা কালীমাতার মন্দির। এখানে ভক্তরা মনোষ্কামনা পূর্ণ করতে কেউ কুমড়ো বলি দেয়। কেউ আবার পায়রা বলি দেয়। তবে ছাগ বলি দিলে পূরণ হয় মনোষ্কামনা। এই মন্দিরে মানত করলে কেউ খালি হাতে ফেরেন না, এমনই বিশ্বাস ভক্তদের।
কথিত আছে, এই মন্দিরে ঘন্টিবাবা নামে সিদ্ধপুরুষ দেবী মাতার দর্শন পান। সেই থেকেই কালীপুজোর শুরু হয়। পরবর্তীকালে এই পুজোর দায়িত্ব পান তৎকালীন জমিদার বংশ। এরপর থেকে চৌধুরী পরিবারের হাতে নিয়ম-রীতি মেনে পালিত হয় কালীপুজো।
পুজোর উদ্যোক্তা শ্যামাপ্রসাদ চৌধুরী জানিয়েছেন, কালীপুজো ছাড়াও প্রতি শনি ও মঙ্গলবার মায়ের পুজো দিতে আসেন ভক্তরা। সব ধর্মের মানুষের কাছেই জাগ্রত এই দেবী। কালীপুজোর দিন থেকে শুরু হয় মেলা। গত ২ বছর কোভিডের জন্যভক্ত সমাগম কম ছিল। এবার কালীপুজোয় হাজার হাজার ভক্ত সমাগম হবে বলে মনে করা হচ্ছে।