মহা শিবরাত্রি (Maha Shivratri) পালিত হচ্ছে ১ মার্চ। শুধু শিবের মন্দির হিসেবেই নয়, 'ভারতের তীর্থস্থান' বলতেও একদম প্রথমে অনিবার্যভাবে যে স্থানের নাম উঠে আসে, তা হল কেদারনাথ (Kedarnath Temple)। উত্তরাখন্ডের রুদ্রপ্রয়াগ জেলার মন্দাকিনী নদীর তীরে অবস্থিত কেদারনাথ শহরকে (Kedarnath) ঘিরে রয়েছে হিমালয়ের তুষারাবৃত শৃঙ্গ। এই শহরের কেদারনাথ মন্দির চার ধামের মধ্যে অন্যতম। এই অঞ্চলের প্রাচীন নাম ছিল কেদারখণ্ড (Kedarkhand)।
আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইউক্রেনের পাশে জার্মানি, পাঠানো হচ্ছে ক্ষেপণাস্ত্র
কথিত আছে, কুরুক্ষেত্র (Kurukshetra) যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর মহাভারতে জ্ঞাতি হত্যার পাপ থেকে মুক্তি পেতে পাণ্ডবরা (Pandavas) তীর্থ দর্শন করতে বেরিয়েছিলেন। সেই সময় তারা কাশীতে এসে জানতে পারেন ভগবান শিব (Lord Shiva) তাঁদের দর্শন না দেবার জন্য পাহাড়ের কোলে আত্মগোপন করে তিনি এক ষাঁড়ের ছদ্মবেশে রয়েছেন। শিবকে সন্তুষ্ট করতে পাণ্ডবরা তপস্যা চালান। পাণ্ডবরাই এই স্থানে পাঁচটি মন্দির নির্মাণ করেছিলেন।
অন্যদিকে, রাহুল সাংকৃত্যায়নের 'হিমালয় পরিচয়' থেকে এই মন্দির (Kedarnath Temple) চারটি পর্যায়ে গড়ে ওঠার কাহিনী আমরা জানতে পারি। প্রথমে গুপ্ত যুগের শিলালিপিতে এই মন্দিরের উল্লেখ পাওয়া যায়। তারপর একাদশ শতাব্দীতে গর্ভগৃহ সমেত গোটা মন্দিরের (Kedarnath Temple) নির্মাণ করা হয়। দ্বাদশ শতাব্দীতে মন্দির (Kedarnath Temple) সংস্কার করা হয়। ধীরে ধীরে অষ্টাদশ শতকে মন্দিরের সামনের অংশ তৈরির মাধ্যমে মন্দির (Kedarnath Temple) নির্মাণকার্য সম্পন্ন হয়
কেদারনাথ মন্দিরের (Kedarnath Temple) গর্ভগৃহে শিবলিঙ্গের আকার ত্রিকোণাকৃতি। এই মন্দির এপ্রিল মাসের শেষ থেকে কার্তিক পূর্ণিমা অবধি খোলা থাকে। শীতকালে কেদারনাথ মন্দিরের (Kedarnath Temple) মূর্তিগুলিকে ছয় মাসের জন্য উখিমঠে নিয়ে গিয়ে পুজো করা হয়।
এই মন্দির (Kedarnath Temple) বন্ধ হওয়ার আগে প্রদীপ জ্বালিয়ে যাওয়া হয়। ছ'মাস পরও একইভাবে সেই প্রদীপ জ্বলতে দেখা যায় মন্দির খোলার পর।