ওয়ার্ক ফ্রম হোম। এই শব্দবন্ধের সঙ্গে আমরা সকলেই বেশ পরিচিত, বিশেষত অতিমারী কাল থেকে। রাস্তায় বেরনো নিয়ে নানা কড়াকড়ি ছিল বিগত দু বছর। এরই মধ্যে প্রচুর অফিস, কাছারি এক দিনের জন্যেও বন্ধ হয়নি। কর্মীরা বাড়ি থেকে কাজ করেছেন। এমন কী এখনও বেশ কিছু সংস্থায় এভাবেই কাজ চলছে। তার সঙ্গে শুরু হয়েছে, কাজের আরও এক নতুন পদ্ধতি। নন লিনিয়ার ওয়ার্কিং ডে।
সপ্তাহভর বাড়ির নানা কাজ জমে থাকে আমাদের। কখনও ব্যাঙ্কের কাজকর্ম, কখনও ডাক্তার দেখানো, কখনও বা ব্যক্তিগত কিছু। সেসবের জন্য অপেক্ষা করতে হয়, সপ্তাহের একটা অথবা দুটো ছুটির দিন। আর সে সব কাজ করতে গিয়ে ছুটির দিন বিশ্রাম হয়না, বা নিজের মতো কাটানো যায় না। এইসব সমস্যা দূর করতে নন লিনিয়ার ওয়ার্কিং ডে চালু হয়েছে কর্পোরেটে।
এ ক্ষেত্রে কাজের নির্দিষ্ট সময় থাকে না, ধরুন, সকালে আপনি লগইন করে ঘণ্টা তিনেক কাজ করে আপনার কাজে বেরোলেন। ব্যাঙ্ক বা ডাক্তারের কাছে আরও ঘন্টা তিনেক সময় লাগল, ফিরে এসে বাকি ৫/৬ ঘণ্টা কাজ করে নিলেন। অর্থাৎ আপনার অফিসেও ছুটি নিতে হচ্ছে না, আবার দরকারি কাজ সারা হচ্ছে। তবে এ ক্ষেত্রে কিছু শর্ত থাকে। যেমন, আপনি যে তিন ঘণ্টা থাকছেন না, অফিসের কাজ বুঝিয়ে দিতে হবে সহকর্মীকে। অর্থাৎ কাজ যেন পড়ে না থাকে। নন লিনিয়ার ওয়ার্কিং ডে তে অনেকেই কাজের মাঝে শরীরচর্চা, রান্না এসবও করছেন। সত্যি বলতে, সমীক্ষা বলছে, এতে কর্মীর কর্মক্ষমতা বাড়ে, এবং তা অফিসের জন্য ভালোই।
তবে খেয়াল রাখতে হবে, কোনও কর্মী এর অপব্যবহার যেন না করেন। আবার অফিসকেও কাজের পরিমাণগত মানের চেয়ে গুণগত মানের কদর করতে হবে। উভয়পক্ষের মধ্যে ভাল বোঝাপড়া থাকলে এ সবই সম্ভব।