খয়রা মাছ দিয়ে ভোগ হয় কালীর। নাম তাই খয়রা-খাগী কালী। মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে রামকৃষ্ণদেব,রানি রাসমনির নাম। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে উত্তর চব্বিশ পরগনার স্বরূপনগরের কালীমন্দির পরিচিত বিথারী কালী নামেও।
ষোড়শ শতাব্দীর শেষদিকে বিথারি শ্মশানে কালীমন্দির প্রতিষ্ঠা করেন কাশীবাসী ব্রাহ্মণ গোপাল সার্বভৌম । এর সঙ্গে জুড়ে আছে রাজা প্রতাপাদিত্যের নাম। রয়েছে স্বপ্নাদেশের গল্পকথাও।
মন্দিরটি রানি রাসমনির জামাই মথুরের জন্মভিটের কাছেই, মন্দির সংস্কার করিয়ে দেন রাসমনি। স্থানীয়দের বিশ্বাস, মন্দিরের বয়স প্রায় সাতশো।
Kali Puja-Bagnan: আলোর উৎসবেও আঁধার বাগনানে, প্রদীপের বিক্রি নেই, অথৈ জলে মৃৎশিল্পীরা
এক সময় মন্দির সংলগ্ন স্বর্ণ নদী থেকে খয়রা মাছ ধরে মায়ের ভোগে দেওয়ার চল ছিল। সেই থেকেই নাম হয়ে যায় খয়রা-খাগী কালী মন্দির। কালীপুজোয় পাঁঠাবলির রীতি আছে আজও। অনেকেই বলেন এক সময়ে এই মন্দিরে কালীপুজো করতেন রামকৃষ্ণদেব।
এখন ১৬৪ জন মন্দিরের সেবাইত আছেন যারা পালা করে প্রতিদিনই মন্দিরে পুজার আয়োজন করে থাকেন