সোমবারের নাটকীয় পট পরিবর্তনের পর, মঙ্গল সকাল থেকেই বেশ কিছুটা স্বাভাবিক ছন্দে বাংলাদেশ। খুলে গেল দেশের সব স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়।
শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরেই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশে৷ হাজার হাজার মানুষ গণভবনে ঢুকে পড়েছিলেন৷ অভিযোগ উঠেছে লুটপাটের। তবে মঙ্গলবার থেকেই বেশ কিছুটা স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের জনসংযোগ দফতর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে কার্ফু সম্পূর্ণ শিথিল করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে খুলে যাচ্ছে অফিস-কাছারি, স্কুল-কলেজও।
সোমবার বিকেলে সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ় জ়ামান জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হবে। জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য সব রাজনৈতিক দলকে সচেষ্ট হওয়ার বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহবুদ্দিন। তারপরই বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়, মধ্যরাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত কার্ফু জারি থাকবে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই সে দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, আধা স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, কারখানা, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খোলা থাকবে।
গত রবিবারই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচিকে ঘিরে তৈরি হওয়া উত্তাল পরিস্থিতিতে একশোর বেশি মানুষ নিহত হয়েছিলেন বাঙ্গলাদেশে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সোমবার থেকে তিন দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে শেখ হাসিনার ইস্তফার পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার থেকেই অফিস-কাছারি, কলকারখানা ও স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।