শীত আসছে। সকাল এবং সন্ধ্যায় বেশ ভালই অনুভূত হচ্ছে ঠান্ডার আমেজ। আর এই ঋতু পরিবর্তনের সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ শরীরের জন্য। শীত পড়তে না পড়তেই ঠান্ডা লাগার সমস্যায় ভোগেন অনেকে। বায়ু দূষণের কারণে অনেকের এলার্জি রয়েছে। ফলে শীতকাল পড়লেই প্রতিনিয়ত সর্দি কাশিতে ভোগেন অনেকে।
সামান্য সর্দি-কাশিতে ওষুধ খেলেও, ঘরোয়া কিছু আয়ুর্বেদিক উপাদানের কথা আমরা ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি। আজ শুনে নেব এরকমই কয়েকটি উপাদানের বিশেষ গুনাগুন।
তুলসী - দূষণ প্রতিরোধে ক্ষমতার জন্য বিশেষভাবে পরিচিত গুল্ম উদ্ভিদ তুলসী। দীর্ঘদিন ধরে সর্দি কাশির ক্ষেত্রে তুলসী পাতা খাওয়ার চল রয়েছে। শীতকালে হালকা সর্দি কাশি থেকে উপশম পেতে খেতে পারেন তুলসী রস।
নিম - নিম পাতাকে পরিশোধক হিসেবে দেখা হয়। নিম পাতার নানা পদ বাঙালির পাতে সারা বছর ধরে সমাদর পায়। শীতকালে শরীর বিশুদ্ধ রাখতে সপ্তাহে অন্তত দু'বার তিন থেকে চারটি নিম পাতা খেতে পারেন।
বাসক - বাঙালি চিরকালই বাসক পাতার রস খেতে অভ্যস্ত। সর্দি-কাশিতে এই বাসক পাতা ভীষণ উপকারী বলেই প্রমাণিত। বাসক পাতার সঙ্গে বাসক ফলও খুব উপকারী। এই ফলের গুড়োর সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে শীতকালে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ যেমন হুপিং কাশি, ব্রঙ্কাইটিস বা হাঁপানি জাতীয় রোগ থেকে স্বস্তি পাওয়া যায়।
এছাড়াও সর্দি-কাশিতে যষ্টিমধু জলে ফুটিয়ে গার্গেল করা, মধু ও লেবুর রস চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে অথবা চায়ের সঙ্গে আদার রস মিশিয়ে কিংবা রোজ সকালে রসুন খেলেও (রসুনে রয়েছে ভিটামিন সি, জিঙ্ক,এবং ভিটামিন বি) ঘরোয়া পদ্ধতিতে সর্দি কাশি থেকে উপশম পাওয়া যায়।