National Youth Day 2023: সমাজ তাঁকে মনে রেখেছে নানা কারণে। তবে এই জাতীয় যুব দিবসে বা বিবেকানন্দকে নিয়ে নানা আলোচনায় কিছুটা বরং আড়ালে চলে যায় স্বামীজির (Swami Vivekananda) ভোজনরসিক সত্তাটা। একেবারে ছোট থেকেই খেতে বড় ভালবাসতেন নরেন। সিমলের দত্ত বাড়ি ছিল খাওয়াদাওয়ার বাড়ি। নরেনের বাবা বিশ্বনাথ দত্ত প্রায়ই বাবুর্চি ডেকে বাড়িতে নানা মোগলাই রান্না করাতেন। এ দিক থেকে নরেনও বাপ কা বেটা।
অল্প বয়সেই নরেন ফ্রেঞ্চ রান্নার বই সংগ্রহ করে গড়ে তুলেছিলেন গ্রিডি ক্লাব সংগঠন। সেখানে রান্না হত, রান্না নিয়ে গবেষণা চলত দিনরাত। হাসের ডিমের সঙ্গে চাল মাখো মাখো করে আলু মটর দিয়ে ভুনি খিচুড়ি বানিয়ে ফেলেছিলেন সেই কোন অল্প বয়সে। প্রথম জীবনে কচুরি সিঙ্গারার প্রতি প্রেম ছিল দারুণ।
রামকৃষ্ণের (Ramkrishna) এক ভক্ত একবার খানিক হিংসের থেকেই ঠাকুরকে বলে দিলেন নরেন হোটেল টোটেলেও খায়। রামকৃষ্ণ শুনে বলেছিলেন, "তুই যদি হবিষ্যিও খাস, আর নরেন হোটেলে খায়, তাও তুই নরেনের সমান হতে পারবি না"।
ফরাসি, জার্মান, আমেরিকান, ইংরেজ, কোন জাতি কেমন খাওয়া দাওয়া করে, তা নিয়েও বিস্তর পড়াশোনা ছিল বিবেকানন্দের। দেশে বিদেশে নানা সময় নানা মশলা দিয়ে রীতিমতো এক্সপেরিমেন্ট করে রান্না করতেন স্বামী জি।
বিদেশে থাকার সময় জাহাজে করে তাঁর জন্য এ দেশ থেকে নিয়মিত পাঠানো হত ছোলার ডাল, কাচা মুগ ডাল। ভাজা মুগ ডাল পেলে গোসা হত স্বামীজির। চিঠিতে হুমকি দিতেন টেমসের জলে ভাসিয়ে দেবার।
ফলের মধ্যে খুব তৃপ্তি করে খেতেন আম আঙ্গুর। এক নিমন্ত্রন বাড়িতে গিরীশ ঘোষের পাতে পরপর মিষ্টি আম পড়ায়, আর তাঁর পাতে টক আম পড়ায় ভয়ানক চটেছিলেন শোনা যায়।