বাঙালির উৎসবের মরশুম শেষ হয়ে আসছে। শেষ গানের রেশ নিয়ে চলে এসেছে জগদ্ধাত্রী পুজো। ২ নভেম্বর পুজোর নবমী তিথি। চন্দননগর, কৃষ্ণনগরে ষষ্ঠী থেকে দশমী, পাঁচদিনই বড় ধুমধাম করে হয় পুজোর আয়োজন। বাংলার বাকি জেলায় অবশ্য নবমীতেই হয় আসল উদযাপন।
প্রচলিত বিশ্বাস, যুদ্ধের সময় মহিষাসুর নানা রূপ ধরে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছিল দেবী দুর্গাকে। মহিষাসুর হাতির রূপ ধরলে তাকে বাগে আনতে চতুর্ভুজা অপরূপা মূর্তি ধারণ করেন। চক্র দিয়ে ছিন্ন করেন হাতির শুঁড়। দেবীর ওই রূপই জগদ্ধাত্রী ।
কথিত আছে, বাংলায় জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র।
রাজস্ব বাকি পড়ায় রাজাকে সেই সময়কার বাংলার নবাব আলিবর্দি খাঁ মুর্শিদাবাদে বন্দি করেন। কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে কৃষ্ণচন্দ্র নৌকা করে নদিয়ায় ফিরছিলেন, এমন সময় ঢাকের বাজনা শুনে জানতে পারলেন সে দিন বিজয়া দশমী। পুজো করতে না পারায় অবসন্ন রাজার স্বপ্নে এলেন দেবী। স্বপ্নাদেশ মেনে দুর্গাপুজোর একমাস পর কার্তিকের শুক্লা নবমী তিথিতে জগদ্ধাত্রী পুজো চালু হল সেই থেকে।