দেবী পক্ষ পড়া মানেই, কৈলাস থেকে ছানা পোনা সমেত মা রওনা দেন সমতলে, বাপের বাড়ির উদ্দেশে। তা সেই বাড়ি যদি রাতারাতি হয়ে যায় বেশ খানিকটা দূর, মানে কৈলাস থেকে সরাসরি নিউ জার্সি, তাহলে পুরো ছুটির কিছুটা এদিক ওদিক হয়। তাই 'ত্রিনয়নী' তে পার্বতী যাচ্ছেন একটু আগেই, ২৪ সেপ্টেম্বর।
এ দেশে থাকলে ওরা পড়শি হতে পারত, তবে বিদেশ বিভূঁইয়ে ওরা থাকেন এক পরিবারের মতো। নিউ জার্সির বাঙালি পরিবার। পোশাকি নাম 'ত্রিনয়নী'। শরত আসলে বিশ্বের সব প্রান্তে থাকা বাঙালির মনে বেজে ওঠে আগমনীর সুর, এরাও ব্যতিক্রম নয়। তাই পুজোর আয়োজন করে ফেলা হইহই করে।
আরও পড়ুন, Chanchal Durga Puja: মুসলমানেরা লন্ঠন দেখালেই প্রতিমা বিসর্জন, রামচন্দ্রের পুজোয় এটাই ট্র্যাডিশন
২৪ সেপ্টেম্বর, এডিসনের রুসভেল্ট পার্কে দশভুজার আরাধনা হবে মহাসমারোহে। দেশের মাটি নেই, তাতে কী! মনে দেশের জন্য টান তো ষোলআনা। তাই ভারী যত্ন করে আন্তরিকতার সঙ্গে প্রতিমাও বানিয়েছেন ত্রিনয়নীর সদস্যরাই, আট থেকে আশি হাত লাগিয়েছেন তাতে। যামিনী রায়ের আঁকার ধাঁচেই বানানো হয়েছে দুর্গা, লক্ষ্মী, গণেশদের।
আর বাঙালি তো দুনিয়াজুড়েই একই রকম। উৎসবের আনন্দ অসম্পূর্ণ থাকে ভুরিভোজ আর আড্ডা ছাড়া। তাই পুজোর দিনে পেট পুজোরই আয়জন রয়েছে ভাল রকমই। দিনে-রাতে দু'বেলাই মহাভোজ। সঙ্গে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও আছে।
আরও পড়ুন, Durga Puja:weapon making in Uluberia: শরত এলেই উলুবেড়িয়ার এই গ্রামে শুরু হয় 'সশস্ত্র বিপ্লব'
খাতায় কলমে দেবী পক্ষের আগেই দেবীর পুজো, তাতে কী? মা দুর্গা বুঝি পক্ষ মানেন? তিনি তো সব পক্ষের। মনে উৎসবের মেজাজ টুকুই সব।