আড্ডা, গান, গল্প, সবেতেই বাঙালির ‘চা’ই চাই! সকালে ঘুম চোখে গলাটা একটু ভিজিয়ে নিতে কিমবা কাজের মাঝে একটু চাঙ্গা হতে চা-এর বিকল্প আর কী আছে? চা-এর সঙ্গে বাঙালি তথা ভারতীয়দের রোমান্সটা চিরকালীন। রাজনীতি থেকে রাজকার্জ, কিমবা ফুটবল থেকে ফ্যাশন, সব মহলেই অবাধ বিচরণ তার। ভারতের নানা প্রান্তে নানা রকমের চা জনপ্রিয়।
সাধারণত উত্তর ভারতের মানুষ পছন্দ করে বেশ মশলাদার চা। ঘন দুধ দিয়ে জ্বাল দেওয়া। সঙ্গে লবঙ্গ, দারচিনি, এলাচ, তেজপাতা থাকলে তো কথাই নেই। এর পেছনে অবশ্য আবহাওয়ার ভূমিকা রয়েছে দস্তুর। উত্তর ভারতে ঠাণ্ডা বেশি, ঘন দুধ দিয়ে বানানো মশলাদার চা পানেই আরাম বেশি।
গোলাপি নুন চা দিয়ে গলা ভেজাতে চান? পুরনো দিল্লির জাম্মা মসজিদের কাছাকাছি খুব জনপ্রিয় এই চা। স্বাদে নোনতা, রঙখানা বাহারি। গলার সঙ্গে মনও ভিজবে ভরপুর। তবে পিঙ্ক টি আসলে কাশ্মীরের।
চায়ের মধ্যে সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর এই গ্রিন টি। এতে ক্যাফিন একদম কম মাত্রায় থাকে। এই চায়ের পাতা তুলে , শুকিয়ে, সেকে নিয়ে তৈরি করা হয়। তুলসী, আদা, এলাচ, মধু এবং মিন্ট এসব ফ্লেভারে পাওয়া যায়। হাই ব্লাড সুগার রোগীদের জন্য বেশ উপকারী এবং এটি অতিরিক্ত মেদ কমাতেও সাহায্য করে।
বে-গুণ নয়, তবে বেগুনি রঙের চা, পার্পল টি। হার্টের ক্ষেত্রে বেশ উপকারী এই চা। আবার সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করতেও সাহায্য করে। ভারতে প্রথম বার এ চায়ের চাষ হল অরুণাচলপ্রদেশের ডনিও পোলো টি-এস্টেটে। এই প্রজাতির চা আসলে হয় আফ্রিকার কেনিয়ায়।