শীতকালে হাজারটা শারীরিক সমস্যা তো লেগেই থাকে। তার সঙ্গেই মানসিক সমস্যাও তৈরি হয় অনেকের। শীত একেই রীতিমতো গ্রাস করে অবসাদ, বিষণ্ণতা। বিশেষজ্ঞরা একে বলেন 'সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডার'। বাংলা করলে বলা যেতে পারে 'মৌসুমী বিষণ্নতা'।
তথ্য বলছে, শীতকালীন অবসাদে ভোগা মানুষের সংখ্যা বিরাট। আমেরিকায় ১ কোটির বেশি মানুষ এসএডি রোগে ভুগছেন। এছাড়াও আরও ২.৫ কোটির বেশি মানুষের মধ্যে শীতকালীন বিষণ্ণতার বেশ কিছু হালকা লক্ষণ দেখা যায়। একে বলা যেতে পারে উইন্টার ব্লুজ।
আসলে ঋতুপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে হরমোনের পরিবর্তনও ঘটে। শীতকালের অনেকটা সময়ই রোদ থাকে না। মস্তিষ্কে সেরোটোনিন রাসায়নিক কমে যায়, যার ফলে মেজাজ ক্ষিপ্ত বা তিতকুটে হয়ে ওঠে।
শীতকালীন অবসাদের ফলে ওজন বাড়ে, বেশি খিদে পায়, বিরক্তি এবং হতাশা বাড়ে, কাজে মন বসে না। তবে সমাধানও আছে হাতের কাছেই। রোজ নিয়ম করে ১৫-২০ মিনিট রোদে বসা দরকার৷ মেঘ কেটে রোদ বের হলে অবশ্যই হাঁটতে হবে। আর দিনে আধ ঘণ্টা করে যে কোনও রকম ব্যায়াম করার কোনও বিকল্প নেই।