মা বলতেই কিছু চিরন্তন ইমেজ একেবারে গেঁথে গেছে আমাদের মনের মধ্যে। মানুষটা নিজের খেয়াল রাখবে না, উদয়াস্ত খেটে যাবে অন্যদের কথা ভেবে। রাতে খেতে বসলে সবচেয়ে বেশি স্যাক্রিফাইসও বরাদ্দ থাকবে তাঁর জন্য। কিন্তু সময়টা যেহেতু, ২০২২। এই সব স্টেরিওটাইপ থেকে বেরিয়ে এসে মায়েদের বলছি, এবার একটু নিজেদের মন এবং শরীরের ভাল থাকার দিকে নজর দিন।
মহিলাদের বয়স তিরিশের কোঠায় গেলেই নানারকম শারীরিক সমস্যার ঝুঁকি বাড়তে থাকে। নিয়মিত কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করালে আগে ভাগে সতর্ক হওয়া যায়। সেরকমই কিছু পরামর্শ রইল এখনকার মায়েদের জন্য।
পেলভিক একজামিনেশন
তিরিশের বেশি বয়সের মহিলাদের স্ত্রীরোগবিশেষজ্ঞদের কাছে নিয়মিত গিয়ে পরীক্ষা করানো উচিত, এতে সারভিকাল ক্যানসারের ক্ষেত্রে একেবারে প্রাথমিক ক্ষেত্রে ধরা পড়ে।
ব্রেস্ট একজামিনেশন/ ম্যামোগ্রাম
৪০ এর বেশি বয়স্ক মহিলারা বছরে অন্তত একবার ম্যামোগ্রাম করিয়ে নিন। প্রাথমিক ধাপে স্তনের ক্যানসার ধরা পড়লে সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভের সম্ভাবনা অনেক বেশি।
বোন মিনারাল ডেনসিটি টেস্ট
মহিলাদের মধ্যে হার ক্ষয়ে যাওয়া বা অস্টিওপোরোসিসের হার খুব বেশি, তাই হাড়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সব উপাদান সঠিক পরিমানে আছে কিনা, পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া দরকার।
থাইরয়েড টেস্ট
একটা বয়সের পর মহিলাদ্রে ক্ষেত্রে ওজন বাড়া, চুল পড়া, নখ ভেঙ্গে যাওয়া, ক্লান্তি এসব সমস্যা প্রায়ই দেখা যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই থাইরয়েডের জন্য এই সব উপসর্গ দেখা যায়।
ডায়াবেটিস হাইপারটেনশন টেস্ট
আজকাল খুব অল্প বয়সেই ডায়াবেটিসের সমস্যা শুরু হচ্ছে মেয়েদের। এতে কিন্তু গর্ভাবস্থায় বা সন্তানের জন্মের পর বা মেনোপজের সময় খুব সমস্যা হয়।
কোলেস্টরল টেস্ট
৩০ বছরের ওপরের মহিলাদের প্রতি ৫ বছর অন্তর একবার কোলেস্টরল পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া দরকার, সঙ্গে ট্রাইগ্লিসারায়েড টেস্ট করালে আরও ভাল।
ভিটামিন ডি টেস্ট
নানা কারণে আজকাল মহিলারা সূর্যের আলো গায়ে লাগানোর সুযোগ আগের তুলনায় কম পান, ফলে অবধারিত ভাবেই দেহে ভিতামিন ডি-এর মাত্রা কমতে শুরু করে। ভিটামিন ডি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ডায়াবেটিস, হার্টের অসুখের সম্ভাবনাও কমায়।