দক্ষিণ দিনাজপুরে তিন আদিবাসীকে দিয়ে দণ্ডি কাটানোর ঘটনায় গ্রেফতার দুই। ধৃতদের নাম আনন্দ রায় এবং বিশ্বনাথ দাস। ইতিমধ্যেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগের পরে রাজ্য পুলিশের কাছে ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছে জাতীয় তফশিলি জনজাতি কমিশন।
রিপোর্ট তলবের পরেই দু'জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার ধৃতদের বালুরঘাট জেলা আদালতে তোলা হয়। আদালত তাঁদের তিন দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মূল অভিযুক্তকে লুকিয়ে রাখার অভিযোগ রয়েছে ধৃত দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
তপন বিধানসভার অন্তর্গত গোফানগরে তৃণমূল ছেড়ে প্রায় ২০০ মহিলা ও তাঁদের পরিবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন । তাঁদের মধ্যে ছিলেন মার্টিনা কিস্কু, শিউলি মারডি, ঠাকরান সোরেন এবং মালতী মূর্মূ। অভিযোগ, এই ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই ওই চার মহিলাকে বালুরঘাট এনে তৃণমূলে যোগ দেওয়ান মহিলা মোর্চার জেলা সভাপতি প্রদীপ্তা চক্রবর্তী।
অভিযোগ ওঠে, তৃণমূলে ফেরালেও ওই আদিবাসী মহিলাদের বালুরঘাট কোর্ট মোড় থেকে পার্টি অফিস পর্যন্ত দণ্ডি কাটানো হয় । পরে প্রদীপ্তাকে সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেয় তৃণমূল । সেই জায়গায় নিয়ে আসা হয় স্নেহলতা হেমব্রমকে ।