এ শুধু বাংলা বলেই সম্ভব। ২৫ ডিসেম্বরের দিন যার সাক্ষী থাকল পুরুলিয়ার বান্দোয়ান। যে মাঠে খেলা হল, তার থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরেই রাইকা পাহাড়। যে পাহাড়ের নিচে এখনও ঘাপটি মেরে রয়েছে ওড়িশার সিমলিপাল থেকে আসা বাঘিনী। তার মধ্যেই হয়ে গেল দু-দিনের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। বাঘের ভয় ভুলে উঠল ওভার বাউন্ডারির হিল্লোল।
বন দফতরের খবর অনুযায়ী, ভরা পেটে জঙ্গলের মধ্যেই বিশ্রাম নিচ্ছে সেই বাঘিনী। মাঝে মধ্যে তার ডাক শুনছে পারছেন গ্রামবাসীরা। গোটা গ্রামকে এখন মুড়ে ফেলা হচ্ছে বড় জাল দিয়ে। সুন্দরবন থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এই ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের।
জানা গিয়েছে, পুরুলিয়ার পাশাপাশি জঙ্গল লাগোয়া ঝাড়গ্রামের গ্রামগুলিকেও সুন্দরবনের কায়দায় মুড়ে ফেলা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। আসলে বাঘিনী জিনাতকে নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চায় না বন দফতর। বন কর্তাদের দাবি, বনের মধ্যে বেশি দিন বসে থাকবে না জিনাত। তাকে একদিন না একদিন বাইরে আসতে হবে।
সেই বাইরে আসার অপেক্ষায় এখন বান্দোয়ান। কবে গিলবে বন দফতরের রাখা টোপ ? নির্দিষ্ট করে এখনও কিছু বলতে পারছেন না রাইকা পাহাড় লাগোয়া জঙ্গলের বাইরে অপেক্ষা করা বন কর্মীরাও।